শিরোনাম
◈ অগ্নিদগ্ধ ডেইলি স্টার ভবনের ছাদে আটকা পড়া সাংবাদিকদের ক্রেন দিয়ে উদ্ধার ◈ ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে রাতভর শাহবাগ অবরোধ, সকালে যোগ দিলেন এনসিপি নেতারাও ◈ ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের তীব্র প্রতিবাদ, সরকারকে পুরো দায় নিতে বললেন মির্জা ফখরুল ◈ চালক-যাত্রীদের অনুরোধেও সড়ক ছাড়েননি ছাত্র-জনতা ◈ আজ সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবে ওসমান হাদির মরদেহ, শনিবার জানাজা ◈ তারেক রহমানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে যে দুই ইস্যু ◈ যেভাবে বিপ্লবী হয়ে উঠেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ শাহবাগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যোগ দিলেন নাহিদ-আসিফ (ভিডিও) ◈ হাদির মৃত্যু: চট্টগ্রামে নওফেলের বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:৩০ সকাল
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট, তবে চীনই বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা, বললেন গবেষক শহীদুল ইসলাম

মারুফুল আলম : চিনের হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পিএইচডি গবেষক এম. শহীদুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে চীনের অর্থনৈতিক উপস্থিতি বেড়ে গেছে। অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের এক নাম্বার ট্রেডিং পার্টনার চীন। গত ৫ বছরে নতুন ডায়নামিকটি হচ্ছে, টপ ইনভেস্টরও তারাই। টপ ট্রেডিং পার্টনার, টপ ইনভেস্টর এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে টপ মিলিটারি হার্ডওয়্যার সরবরাহকারীও চায়না।

বুধবার চ্যানেল আই’র তৃতীয় মাত্রায় তিনি বলেন, তিনটি ক্ষেত্রেই চায়না অটোমেটিক্যালি বাংলাদেশের একটি বড় পার্টনার হয়ে গেছে। বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা এটাই। শহীদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোর যে অবস্থান, সে তুলনায় ভারত ও চীনের অবস্থান অনেকটাই বিপরীত।

বাংলাদেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে তাদের অবস্থান আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। সেখানে তারা অনেকটা এক লাইনে কথা বলেছে। দক্ষিণ এশিয়াতে ভারতের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসনের ব্যাপারে যে কমিটমেন্ট ছিলো, সেটা এখন অনুপস্থিত। অন্যদিকে পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি। পরিস্থিতি এরকম হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মিয়ানমারে একসময় নেহরোবিয়ান ফিলোসফির আলোকে ভারত গণতন্ত্রায়নের শক্তিগুলো তাদেরকে সাপোর্ট দিয়েছিলো, অন্যদিকে চীন সাপোর্ট দিয়েছিলো সামরিক বাহিনী বা অন্যান্য ফোর্সগুলোকে।

মিয়ানমারের আজকের যে অবস্থান সেখানে চীন তার অবস্থানটাকে অনেকটা কনসুলেটেড করেছে এবং পশ্চিমা শক্তিগুলো দুর্বল হয়ে গেছে। এখান থেকে ভারত যা শিখেছে, এশিয়ার রাজনীতিতে চীন যেভাবে ফাইনান্স ও অন্যান্য দিক দিয়ে এগোচ্ছে, সেখানে শুধু গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার নিয়ে পড়ে থাকলে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিতে চেক দেয়া যাবে না।

শহীদুল ইসলামের মতে, বর্তমান সরকার ডিল করার ক্ষেত্রে বেশি কমফোর্ট ফিল করে চায়নার সঙ্গে। তবে, ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি সম্পর্ক আগে থেকেই আছে। আওয়ামী লীগ সরকার দিল্লীর আশির্বাদপুষ্ট ইত্যাদি কথাও শোনা যায়। ওই অবস্থান থেকে নাটকীয়ভাবে চীনের দিকে শিফট করেছে, তা কিন্তু নয়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ওই অবস্থান বাংলাদেশ ঠিকই বজায় রেখেছে। একইভাবে আওয়ামী লীগের যে নতুন ফিলোসফি, সেখানে চীন বিশ্বস্ত বা অবিশ্বস্ত বলবো না, তবে চীন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ইফেকটিভ পার্টনার।

তবে, ভারত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে উন্নয়নশীল হিসেবে চ্যাম্পিয়ান, এটা আমাদের স্বীকার করতেই হবে এবং এটাও সত্য যে, ভারতের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়