লিহান লিমা: ভেনেজুয়েলার বর্তমান সংকটের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে মাদুরো বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার ‘চরমপন্থীদের আড্ডাখানা’। বিবিসি, রয়টার্স, সিএনবিসি
মঙ্গলবারের এই সাক্ষাতকারে মাদুরো জানান, ‘হস্তক্ষেপকে ন্যায্যতা দিতে ভেনেজুয়েলায় মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা ভেনেজুয়েলায় আগ্রাসন চালাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কিন্তু তার সরকার কখনোই মার্কিন ত্রাণ প্রবেশে অনুমতি দেবে না।’ বিবিসিকে মাদুরো বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদের, ক্লু ক্লুক্স ক্ল্যান (শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী বর্ণবাদী গ্রুপ) এখন হোয়াইট হাউস শাসন করছে, তারা ভেনেজুয়েলার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। আমার বিশ্বাস হোয়াইট হাউসের চরমপন্থী এই গোষ্ঠি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনমতের মুখে পরাজিত হবে।’
সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসও ভেনেজুয়েলার সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সংকট সমাধানে দুই পক্ষের মধ্য আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এদিন ওপেকভুক্ত দেশগুলোর কাছে ভেনেজুয়েলার পাশে থাকার সহায়তা চেয়ে চিঠি লেখেন মাদুরো। যদিও ওপেক বলছে, তাদের উদ্বেগ তেলনীতি নিয়ে, রাজনীতি নিয়ে নয়।
বিবিসির এই সাক্ষাতকারে ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে মাদুরো আরো বলেন, ‘প্রকাশ্যে এবং জনসম্মুখে তিনি তাই। তারা আমাদের ঘৃণা করে, তাচ্ছিল্য করে, কারণ তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ, মার্কিন স্বার্থেই বিশ্বাস করে।’ যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে। দেশটির রাজস্ব খাতের প্রধান উৎস রাষ্ট্রায়াত্ত তেল কোম্পানির ওপরও নিষেধাজ্ঞারোপ করা হয়েছে।
২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসা মাদুরো ২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন। ২৩ জানুয়ারি দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা হুয়াইন গুয়াইদো নিজকে অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ৪০টি দেশ গুয়াইদোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এদিকে মাদুরোর ওপর দেশটির সামরিক বাহিনী ও রাশিয়া, চীন, তুরস্কসহ ১০টি দেশের সমর্থন রয়েছে। ভেনেজুয়েলার ওপর অতিসত্ত্বর নির্বাচন দেয়ার পশ্চিমা চাপ রয়েছে।