আমিরুল ইসলাম : ২০১২ সালে কোচিং বন্ধে সরকারের করা নীতিমালা বৈধ ঘোষণা করে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যে লাগাম টেনেছে হাইকোর্ট। ক্লাসে সঠিক পাঠদান না হওয়ায় এতোদিন কোচিং-এর ওপর নির্ভর করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এখন কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের করণীয় জানতে চাইলে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ঠিকমতো পাঠদান করছেন কিনা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এখন শিক্ষকদেরকে ক্লাসে আরো বেশি সময় দিতে হবে। কøাসে পাঠদানে আরো সিরিয়াস মনোভাব থাকতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা দেয়ার পরিবেশটাকে আরো সহায়ক করতে হবে। একই সাথে যারা দুর্বল শিক্ষার্থী আছে তাদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই কোচিং-এর ব্যবস্থা করতে হবে। আদালতও সেটা বলেছে। সেটা আরো জোরদার করতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বার্থটাকে দেখতে হবে আবার শিক্ষকদেরও যেনো কিছু আর্থিক সহযোগিতা হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। কিন্তু কোচিং সেন্টারে গিয়ে শিক্ষকরা পড়াতে পারবে না। এটাকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। আইনের মাঝে থেকেই শিক্ষার্থীদের স্বার্থ এবং শিক্ষদের স্বার্থ দুইটাই দেখা সম্ভব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষকরা ক্লাসে টিকমতো পাঠদান করছেন কিনা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবসময় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে কøাসগুলো ঠিকমতো হচ্ছে কিনা?
আপনার মতামত লিখুন :