রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধীদল কারা? এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক মধুর জটিলতা। কখনো অনুরোধ, কখনো উপেক্ষা করে ভোট সঙ্গী ও মহাজোট সঙ্গীকে বিরোধী দলের আসনে বসানোর আয়োজন চলছে। গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, জোর করে বিরোধীদল বানানো আইন সঙ্গত বা যুক্তি সঙ্গত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলবে অনেকদিন। কিন্তু ন্যায় সঙ্গত যে হচ্ছে না তা স্পষ্ট এবং এ নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নেই। দশম সংসদেও বিরোধী দল ছিল। তারা সরকার সমর্থিত বিরোধীদল হিসেবে হাস্যকর ভুমিকায় নিজেরাও লজ্জা পেয়েছেন, কখনো আত্মপরিচয় খুঁজতে প্রশ্ন করেছেন সরকারের কাছেই। সরকার বলেছেন, এরা হচ্ছে কার্যকর বিরোধী দল।
তিনি বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা করে না, ওয়াক আউট করে না বরং সংসদীয় রাজনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। বাস্তবে জনগণ দেখেছে, ৬০ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত না হওয়ায় কোরাম পূর্ণ হচ্ছে না, প্রশংসা এবং নিন্দা করেই সময় পার করা হচ্ছে। সংসদ সদস্যদের যে কাজ প্রধান অর্থাৎ আইন প্রণয়নের কাজে সময় দেয়া হচ্ছে খুবই কম। সংসদ গণতন্ত্র চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হবে এই বহুল প্রচলিত কথা যেন তাৎপর্য হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশের নির্বাচনে ও সংসদের কার্যক্রমে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল সকলের অংশগ্রহণ বিহীন, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে তা বলা যাবেনা। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ