খায়রুল আলম : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে যে কেউ ভূমিকা রাখতে পারেন। সেটি অ্যাঞ্জেলিনা জোলি হোক বা অন্য কেউ হোক। জোলি যেহেতু ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত, সেহেতু তার ভূমিকা রাখার মতো অনেক পথ আছে। তিনি চাইলে সারাবিশ্বে একটি পাবলিক ওপেনিয়ন তৈরি করতে পারেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, জোলি চাইলে বিশ্বের যেসব লোকগুলো বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন, তাদের সাথে কথা বলে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেন। কারণ তিনি একজন খ্যাতিমান অভিনেত্রী ও বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে দীর্ঘদিন যাবত যুক্ত আছেন। তার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বার্তাটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব বলে আমি মনে করি। তবে এ ধরনের সংকট সমাধানের জন্য শুধু সামরিক শক্তি বা কঠিন কোনো শক্তি দিয়ে সমাধানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সফ্ট পাওয়ার। সফ্ট পাওয়ার বলতে বিভিন্ন ধরনের নৈতিক চাপ তৈরি করা বা আবেদন জানানো। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন মাধ্যমগুলোতে বক্তব্য তুলে ধরা। এসব মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা যে, রোহিঙ্গারা নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত ও নির্যাতিত। তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বড় বড় দেশগুলোর এগিয়ে আসা দরকার। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোলিকে বলেছেন যেন কনসার্ট ফর বাংলাদেশের মতো একটি আয়োজন করেন যাতে করে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি তহবিল জোগাড় করা যায়। এটি আরও আগেই করা উচিত ছিলো বলে আমি মনে করি। এটি যে এখনো হয়নি সেটিই দুর্ভাগ্যের ব্যাপার। রোহিঙ্গাদের জন্য একসঙ্গে সারাবিশ্বে তহবিল তৈরির জন্য যে কোনো প্রোগ্রাম আয়োজন করতে পারে। কারণ প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গার প্রতিদিনির খরচটি কিন্তু কম নয়। তাই সব কিছু মিলিয়ে শুধু জোলি নয় যে কেউ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :