শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:০৭ সকাল
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিত্রদেশের কাছে বিক্রিত মার্কিন অস্ত্র যাচ্ছে শত্রুদেশের কাছে

রাশিদ রিয়াজ : সৌদি আরব ও আমিরাতে বিক্রিত মার্কিন অস্ত্র চলে যাচ্ছে আল কায়েদা এবং ইরানের হাতে। এধরনের ঘটনা ঘটছে সিরিয়া ও ইয়েমেনেও। সৌদি আরব ও এর মিত্রদেশগুলোর মাধ্যমে মার্কিন অস্ত্রগুলো চলে যাচ্ছে কট্টরপন্থী সালাফি মিলিশিয়া ও অন্যান্য গোষ্ঠীর হাতে এবং অস্ত্র বিক্রির শর্ত অনুসারে তা তৃতীয় কোনো পক্ষের হাতে চলে যাওয়ায় চুক্তিও ভঙ্গ হচ্ছে।

সিএনএন’এর এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এর ফলে এসব অস্ত্র ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে চলে যাওয়ায় স্পর্শকাতর সামরিক প্রযুক্তি হাতছাড়া হচ্ছে এবং সিরিয়া, ইয়েমেনের মত সাংঘর্ষিক অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের জীবন আরো বেশি বিপন্ন হয়ে পড়ছে। সিএনএন প্রশ্ন তুলেছে যে, গত এক দশকে সন্ত্রাস দমন বা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ হ্রাসের পেছনে এধরনের ঘটনা কারণ হিসেবে কাজ করছে কি না তা উদঘাটনের সময় এসেছে। এও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সৌদি আরবের কাছে অত্যাধুনিক মার্কিন অস্ত্র ও মিলিটারি হার্ডওয়্যার বিক্রি যথাযথ হচ্ছে কি না।

এর আগে সিএনএন’এর এক তদন্তে সৌদি আরবে এসব অস্ত্র শিশু ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের কাছে শুধু মার্কিন অস্ত্র নয়, এমনকি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, সাঁজোয়া যান, লেজার অস্ত্র ও আর্টিলারির সর্বাধুনিক যন্ত্রাংশ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এসব মার্কিন অস্ত্র চুরি কিংবা পাচার হয়ে যা নিয়ে দেশগুলোর শাসকদের কোনো জবাবদিহি নেই। এধরনের অস্ত্র প্রযুক্তি পাচারের ফলে অত্যাধুনিক মার্কিন অস্ত্রের বিকল্প অস্ত্র ইরানের পক্ষে তৈরি করা সহজ হয়ে পড়ছে। ইয়েমেনে রীতিমত মার্কিন অস্ত্রের অবৈধ বাজার গড়ে উঠেছে।

ইয়েমেনে সৌদি জোটের পক্ষে আবু আব্বাস ব্রিগেড লড়ছে মার্কিন ওশকোশ সাঁজোয়া যান নিয়ে। অথচ ব্রিগেডের প্রতিষ্ঠাতা আবু আব্বাসকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করে ২০১৭ সালে। এই ব্রিগেডের অনেকে মার্কিন অস্ত্র কালোবাজারে বিক্রি করছেন যা কিনে হস্তগত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দেশগুলো। এধরনের মার্কিন অস্ত্র পাচার হচ্ছে আমিরাত থেকে ইয়েমেনেও। যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা সৌদি আরব ও আমিরাতের কাছে এভাবে ঢালাও অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার চেষ্টা করলেও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হচ্ছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ হলে বরং তা মিত্রদেশ এবং একই সঙ্গে সেখানে অবস্থানরত মার্কিন সেনা বা মার্কিনীদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলবে। গত বছর সিনিয়র সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজিকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জোরালো হয়ে উঠলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এধরনের মাল্টিবিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করা হবে বোকামি। আমি কখনো চাইব না অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত করতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়