জিয়াউদ্দিন রাজু: বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতিতে গভীর খাদের কিনারায় চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনে দলটার মনোনয়ন বিক্রির উদ্বোধন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিচার-বিশ্লেষণ করে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে সিলেক্ট করবে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন বেপরোয়া হয়ে যখন যা খুশি তাই বলছে। এখানে কোন যুক্তি বা বাস্তবতা নেই। কারণ এই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে এই মুহূর্তে কোন প্রশ্ন নেই। বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশগুলো এই নির্বাচনে বিপুল জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সরকারের সঙ্গে একসাথে কাজ করার কথা স্বয়ং জাতিসংঘ থেকেও উচ্চারিত হয়েছে। একমাত্র বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারাই আজকে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি লিগ্যাল বিষয় লিগ্যাল ব্যাটেল করে তারা যদি তাদের নেত্রীকে মুক্ত করে তাহলে তাদেরকে স্বাগতম। এটা আইনের বিষয়ে আইনগত ভাবে সমাধান হবে।
আন্দোলন করে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়াকে মুক্ত করবে এটা এখন আর দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের আন্দোলন আষাঢ়ের তর্জন গর্জনেই সার। এর কোন আবেদন নেই।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র স্পষ্টভাবে বলা আছে উপজেলার বর্ধিত সভার মাধ্যমে চেয়ারম্যান পদটি মনোনয়ন দিতে হবে কিন্তু অনেক জায়গা অভিযোগ আসছে এমপি তাদের প্রভাব খাটিয়ে একক নাম পাঠাচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, সে রকম অভিযোগ আসতে পারে। এখন এককভাবে নিয়ম ভঙ্গ করে যদি কোনো নাম বা তালিকা আসে সেজন্যতো আমাদের মনোনয়ন বোর্ড আছে। কেউ কোন অনিয়ম করলো কিনা সেটা দেখার জন্য আমাদের এই বোর্ড। তৃণমূলের নাম গুলো সঠিক ভাবে আসছো কিনা সেটা দেখার জন্যই তো আমাদের এই মনোনয়ন বোর্ড। সঠিকভাবে নাম না আসলে সঠিকভাবে কি করতে হবে সেখানে সার্ভে রিপোর্ট ও আছে সব মিলিয়ে আমরা মনোনয়ন দেবো।
অনেক এমপি - মন্ত্রী এবং শীর্ষ নেতারা তাদের নিজ এলাকার প্রার্থীর নাম এককভাবে পাঠাচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে যে মনোনয়ন বোর্ড বসবে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে যাচাই-বাছাই করে জনগণের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই আমরা সিলেক্ট করব।
আপনার মতামত লিখুন :