শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:০৪ দুপুর
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জেলখানার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিনা বিচারে আটক রয়েছে : সুলতানা কামাল

নয়া দিগন্ত : তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরর সাবেক উপদেষ্টা ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবির) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের জেলখানাগুলোতে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিনা বিচারে আটক রয়েছে। জেলখানাগুলোর ধারণক্ষমতার তিন-চারগুণ বেশি মানুষ জেলখানায় রয়েছে। তার মধ্যে দুই- তৃতীয়াংশ মানুষ বিনা বিচারে আটক।

গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মানবাধিকার, সংবিধান এবং বাংলাদেশ’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুলতানা কামাল বলেন, বন্দীদের মধ্যে একটি বড় অংশই কোনো ধরনের অপরাধ না করেই জেলখানায় বন্দী আছেন। বিনা বিচারে আটক করা যাবে না, গ্রেফতার করা যাবে না মানবাধিকারের সেসব কথা আমরা লঙ্ঘন করছি।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছি। মানুষের লাশ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। কে বা কারা করছে সেটি আদালতের বিচার্য বিষয়। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় না। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে মানুষ এখন আর ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে না।’

বাংলাদেশের বাস্তবিক পরিস্থিতিতে এখনো মানুষকে নানা কারণে নানা বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, সংখ্যালঘুরা, আদিবাসী বাঙালিরা, নারী-পুরুষ বিশেষ কর দলিত গোষ্ঠীর লোকেরা এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। কোনো সভ্য সমাজে এমন বৈষম্য থাকতে পারে না। এটি অসংবিধানিক। এটি দূর করা প্রয়োজন। ‘বৈষম্য বিলোপ আইন’ তৈরির কথা থাকলেও সেটির বাস্তবায়ন এখনো করা হয়নি। সেটির কাজ আইন মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গিয়েছিল। যারা আইন প্রণয়নের দায়িত্বে রয়েছেন তারা এখন পর্যন্ত সেই আইনটি পাস করছেন না।’

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমনের ব্যাপারেও আমরা খারাপ অবস্থানে রয়েছি। দুর্নীতি দমনে আমরা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি।

রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মনীন্দ্র কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (আরপিএসইউটি) চেয়ারম্যান রাজীব প্রসাদ সাহা, সদস্য শ্রীমতী সাহা, কুমদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক সম্পা সাহা, মহাবীর পতি, উপদেষ্টা আবু আলম মো: শহিদ খান, আরপি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান ড. সুশীল কুমার দাশ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. মুসলেউদ্দিন, ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়