মারুফুল আলম : জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করার জন্য আপনি কি প্রিয় খাবারটির বদলে পোকামাকড় খাবেন? ২০৫০ সাল নাগাদ বিশে^র জনসংখ্যা নয়শ সত্তর কোটিতে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হয়। এর মানে আমাদের বর্তমান খাবারের উৎপাদন দ্বিগুন করতে হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তখন আমাদের কম মাংস খেতে হবে অথবা আমিষের জন্য অন্য উৎস খুঁজতে হবে। বিবিসি বাংলা।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পোকামাকড় খেয়ে ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করা যেতে পারে। কারণ পোকামাকড় স্বাস্থ্যকর, ভালো পুষ্টিগুন এবং আমিষে সমৃদ্ধ। তাছাড়া এগুলো প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। কৃষিখাতের তুলনায় পোকামাকড়ের খামার থেকে গ্রীনহাউজ গ্যাস অনেক কম হবে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ খাবার উৎপাদনে ২৫ শতাংশ গ্যাসই সৃষ্টি হয়ে থাকে।
পোকামাকড়ের ক্ষেত্রে লাভও বেশি। যেমন একই পরিমান প্রোটিন উৎপাদন করতে গিয়ে ঝিঁঝিঁ পোকা একটি গরুর তুলনায় ১২ গুণ কম খাবার খেয়ে থাকে। পোকামাকড় খাওয়া একটি প্রাচীন রীতি। দুইশ কোটি মানুষ নানাভাবে পোকামাকড় খেয়ে থাকে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও সম্প্রতি এই রীতি চালু হয়েছে। নেদারল্যান্ডস ও আফ্রিকার বেশ কিছু খামারে এর মধ্যেই পোকামাকড়ের চাষাবাদ শুরু হয়েছে।
খাদ্য বিষয়ক একটি পত্রিকার মতে, খাওয়ার মতো বাজারে পোকামাকড় বিক্রি হয়েছে ২০১৩ সালে ১২০ কোটি ডলারের মতো। এতে আরো বলা হয়, পোকামাকড়ের হয়তো অনেক দুর্নাম আছে, কিন্তু তাদের টিকে থাকার ক্ষমতার ফলে এই আলোচনার সৃষ্টি করেছে যে, আমাদের খাদ্যাভ্যাস কীভাবে পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।