জাবের হোসেন: ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে টাংগন নদী। দীর্ঘদিন ধরে খনন না হওয়ায় নদ-নদীগুলো মরা খালে পরিণত হয়েছে। এক সময়ের খরস্রোতা নদী এখন বালুচর আর গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। নদীর নাব্য হারিয়ে জেলার বাকি ১২টি নদীও মরা খালে পরিণত হয়েছে। বেকার হয়ে পড়েছেন জেলেরা। এ সুযোগে দখল করে নদীর আশপাশে গড়ে তুলছে বসতি। এ অবস্থায় জলবায়ু রক্ষা ও পরিকল্পিতভাবে নদীগুলো খননের দাবি স্থানীয়দের। ঠাকুরগাঁও জেলায় টাংগন, শুক, সেনুয়া, নাগর, পাথরাজ, কুলিক ও তীরনইসহ ছোট বড় ১৩টি নদী রয়েছে। সময় টিভি
স্থানীয়রা জানান, হাজার হাজার মানুষ এই নদী থেকে মাছ ধরে জীবিকি নির্বাহ বরতো। মাটি কেটে নদী ভরাট করায় এখন আর মাছ- নদী কিছুই নেই। তারা আরো জানান, ড্রেজিং করলে নদী তার নাব্য ফিরে পাবে। এবং কৃষকদের সেচে সুবিধা হবে। এলাকার পরিবেশ ফিরে পাবে আগের রূপ। অবিলম্বে ভরাট নদীগুলো খননের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানায় সুজন।
ঠাকুরগাঁও সু-শাসনের জন্য নাগরিকের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, নদী দখল করে কেউ যেন ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে না পারে, আবাদ করতে না পারে নদীর মধ্যে এ জিনিসটা দেখা দরকার। জেলা প্রশাসক জানান, সীমানা নির্ধারণের পর বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নদী খননের কাজ শুরু করা হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড পীরগঞ্জ উপজেলার সুখ নদীর কাজ শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে অন্য সব নদীর খনন কাজের প্রক্রিয়া শুরু হবে।