নন্দিতা চক্রবর্তী
সব বিষয় নিয়ে কথা বলা, বাঁকা কথা বলাটা আমাদের বদভ্যাসের অন্যতম একটি। দুদক কেন স্কুলে টিচার অনুপস্থিত নিয়ে মাথা ঘামাবে? বড় বড় রাঘব বোয়াল বাদ দিয়ে এসব ছোটখাটো (!) বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার কী?
চারপাশে এমনই আলোচনা শুনছি। দুর্নীতির সংজ্ঞা বদলেছে। আর্থিক দুর্নীতিই শুধু দুর্নীতি নয়, সামাজিক অনাচারও দুর্নীতি। আপনি আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন না, ক্ষমতার (যতোটুকুই পারেন) অপব্যবহার করবেন, অবৈধ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন, পেশীশক্তির চর্চা করবেন এগুলো দুর্নীতি নয়? দিনের পর দিন চোখ বুজে থেকে প্রশ্রয় পেয়ে পেয়ে আপনি আরো বেশি ফাঁকিবাজ হয়ে উঠবেন, নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠবেন এটা কোন নীতি?
রাঘব বোয়ালদের কথা বলা হয়। এদের তো ধরতে হবেই কিন্তু এই চুনোপুঁটিরাও যে তলে তলে রাঘব বোয়াল হয়ে উঠছে তার খেয়াল কে করবে? নাকি তাদের রাঘব বোয়াল হয়ে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?
সর্বগ্রাসী দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বক্ষেত্রে অ্যাকশন চাই। স্কুল টিচারদের অনুপস্থিতি হয়তো একদিন দু’দিন ছোট করে দেখা যেতে পারে কিন্তু অভ্যস্ততায় পরিণত হচ্ছে এসব। তারা মানুষ গড়ার কারিগর এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।
সুবাতাস বইছে। বিভিন্ন অফিসে কর্তৃপক্ষ কঠোর নজরদারি করছেন সঠিক সময়ে উপস্থিতি, কর্মস্থলে অবস্থানের ক্ষেত্রে। আমরা আসলে লাঠির জাত। লাঠি আছে যে ক’দিন আমরা আপাত ঠিক, লাঠি নেই তো যে সেই! তাই লাঠি তথা এই কঠোরতা অব্যাহত থাকুক। ফেসবুক থেকে