সাইদুর রহমান: টিকটিকি এবং এ জাতীয় প্রাণী যেমন, কাঁকলাস, গিরগিটি ইত্যাদি মেরে ফেলা সওয়াবের কাজ। ফাকিহা ইবনুল মুহীরার মুক্তদাসী সাইবা থেকে বর্ণিত তিনি আয়েশা (রাঃ)-র নিকট প্রবেশ করে তার ঘরে একটি বর্শা রক্ষিত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, হে উম্মুল মুমিনীন! আপনারা এটা দিয়ে কী করেন? তিনি বলেন, আমরা এই বর্শা দিয়ে এসব গিরগিটি হত্যা করি। কারণ আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অবহিত করেছেন যে, ইবরাহীম (আ)-কে যখন অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হলো তখন পৃথিবীর বুকে এমন কোন প্রাণী ছিলো না, যা আগুন নিভাতে চেষ্টা করেনি, গিরগিটি ব্যতীত। সে বরং আগুনে ফুঁ দিয়েছিল। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটিকে হত্যা করার নির্দেশ দেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩২৩১,মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪৫৩৪]
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রথম আঘাতে যে ব্যক্তি কাকলাস [টিকটিকি] মেরে ফেলবে, তার জন্য রয়েছে এত এত পরিমাণ সাওয়াব। আর যে ব্যক্তি দুই আঘাতে তাকে মেরে ফেলবে, তার জন্য এত এত পরিমান সাওয়াব, প্রথমবারের চাইতে কম। আর যদি তৃতীয় আঘাতে মেরে ফেলে, তা হলে তার জন্য এত এত পরিমাণ সাওয়াব তবে দ্বিতীয়বারের চাইতে কম। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ইফাবা-৫৬৫১]
মূলত টিকটিকি জাতীয় প্রাণী হত্যার নির্দেশের মূল কারণ হল, এসব মানুষের জন্য ক্ষতিকর। ক্ষতিকর হবার কারণে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা হত্যার আদেশ করেছেন।
، -৪/৩৫০