হাসান শান্তনু : বোমা, গ্রেনেড, চাপাতি ছাড়াও ধর্মান্ধ মুসলমানদের আরেক ধরনের ‘জিহাদ’ শতাব্দী প্রাচীন। ‘রাজনৈতিক ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ওই ‘জিহাদ’ অন্যের মন্ত্রপড়া বউকে যৌনভোগেরও দারুণ এক উপায়। নাম ‘লাভ জিহাদ’। রাজনীতির আপোসে হেফাজতের মতো উগ্র ধর্মীয় সংগঠনও এ দেশে একপর্যায়ে ‘সরকারি ভাষায় কী মোলায়েম’ হয়ে উঠতে পারে। ‘লাভ জিহাদ’ সম্পর্কে রাষ্ট্র, প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা জানারও সুযোগ এসেছিলো। দুভার্গ্য, সুযোগটা নষ্ট হয়ে গেছে।
রংপুরের প্রগতিশীল আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী দীপা সরকার লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়েন। দীপার কথিত প্রেমিক ছিলেন শিক্ষক কামরুল ইসলাম। কামরুলের সংশ্লিষ্টতা ছিলো ধর্মান্ধ সংগঠনের সঙ্গে। কামরুলের ফাঁদে পা দিয়ে দীপা স্বামী রথীশকে হত্যা করেন। গ্রেপ্তার হন দীপা, পরে কামরুল। একপর্যায়ে কামরুল কারাগারে আত্মহত্যা করেন। স্বামী রথীশকে হত্যা মামলায় দীপাকে মৃত্যুদ-ের আদেশ দেন আদালত।
বেঁচে থাকলে কামরুলের লাভ জিহাদকে প্রশাসন কীভাবে দেখছে, একে অপরাধ হিসেবে নিচ্ছে কিনা, সেসব বিষয়ে এতোদিনে হয়তো নানা কিছু জানা যেতো। তবে একটা বিষয় অজানা থেকেও যেতে পারে। চার দশকের বেশি সময় ধরে দেশে আইনের শাসনের বদলে বেশি চলছে ‘নির্দেশিত শাসন’। চাঞ্চল্যকর নানা অপরাধের পরও শীর্ষ কারো নির্দেশ না পেলে মামলা হওয়া, আসামি গ্রেপ্তারের কাজগুলো ঠিকভাবে হয় না। বিদ্যমান এ বাস্তবতায়ও রথীশ হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, আসামি গ্রেপ্তার, তদন্ত প্রতিবেদন, বিচারিক কার্যক্রম হয়েছে বিদ্যুৎগতিতে। এসব বিষয়ে কারো নির্দেশ কী ছিলো? ফেসবুক থেকে