রিতা রায় মিতু : আমি নাকি পুরুষবাদী! আমি আসলেই বুঝি না নারীবাদী আর পুরুষবাদী ব্যাপারটা কি। নারীবাদী হলেই কি সব সময় পুরুষের বিপক্ষে বলতে হবে? নাকি পুরুষবাদী হলেই সব সময় নারীকে হেলা অশ্রদ্ধা করতে হবে! সর্বজনবিদিত, সমাজে নারীরা স্বামীর গৃহে-বাইরে প্রায়ই নিগৃহীত হয়। আবার অনেক শিক্ষিত নারীকে জানি, যারা ঘরে স্বামী নামের মানুষটিকে কথায় কথায় লাথি, ঝাঁটা মারা কথা বলে, তুই-তোকারী করে, স্বামীর বাপ-মা চৌদ্দ গোষ্ঠী তুলে গালি-গালাজ করে, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা গহনা দিতে পারে না বলে স্বামীর গায়ে থুতু ছুঁড়ে দেয়। স্বামী যদি তার মায়ের সাথে নিরলে বসে কথা বলে, স্ত্রী সহ্য করতে পারে না। এক নারীকে জানি, যে তার অতি ভদ্র নিরীহ শিক্ষিত স্বামীকে গালি-গালাজতো করতোই, পায়ের স্যান্ডেল খুলে পিটাতো। মেয়েরা ঘরে নির্যাতিত হলে তা সকলেই জানে, কিন্তু পুরুষ যদি ঘরে নির্যাতিত হয়, বাইরের কেউ জানে না। বাইরের মানুষ জেনে যাওয়া মানে সেই পুরুষের মরণ, কারণ সমাজ নির্যাতিত পুরুষটিকে কাপুরুষ ভাবে। পুরুষ যখন কাপুরুষ হিসেবে সমাজে পরিচিতি পায়, পৌরুষ হারিয়ে যাওয়ার গ্লানিতে সে মরে যায়! নির্যাতিত পুরুষের অপমানের কান্না কেউ শুনতে পায় না, পুরুষ ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ে যায়, পুরুষ যখন কাঁদে, তখন পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়। কারণ পৃথিবীর সৌন্দর্য ধারণ করে নারী, সেই নারীর কারণে পুরুষ কাঁদলে সৌন্দর্য থাকে কেমনে! ফেসবুক থেকে