স্মৃতি খানম : কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ‘People’s Republic of Bangladesh-’- নামে পরিচিত। এ অবস্থায় অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নতুন সরকার দেশ ও জাতির মনে নতুন আশার সঞ্চার করবে, তেমনটিই প্রত্যাশা। অতঃপর দেশ ও জাতি নতুন আশায় জেগে উঠবে, জনজীবনের কোনো স্তরেই হতাশা বিরাজ করবে না, নিরাপদ সড়কের জন্য আমার সন্তানদের রাস্তায় নামতে হবে না, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে, আদালতে ফাইল খুঁজে না পাওয়ার বঞ্চনা থাকবে না, সেখানে কেউ অনিয়মের জাঁতাকলে নিষ্পেষিত হবে না, পুলিশি ব্যবস্থায় জনহয়রানি হবে না, রাস্তাঘাট নির্মাণের অর্থ পকেটে ঢুকিয়ে কেউ দেশের রাস্তাঘাটের বেহালদশা করবে না, মানুষ নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে- তেমন একটি দেশই হোক আমাদের বাংলাদেশ। মোট কথা, সর্বক্ষেত্রে মানুষের মৌলিক অধিকার বহাল থাকবে- নতুন সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যেন তেমনটি হয়। সূত্র: যুগান্তর
তিনি আরও বলেন, এসব মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় পদায়নের জন্য যে তদবির-সুপারিশ হয় এবং সেসব পদ-পদবি পেতে যে একেকজন টাকার বস্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ান, সেসব ঘটনাও ওপেন সিক্রেট। তাই রাস্তাঘাট নির্মাণে অর্থের অপচয় কীভাবে বন্ধ হবে, তা সরকারকেই ঠিক করতে হবে এবং তা এ মুহূর্তেই। কারণ এসব বন্ধ করতে অনেক সময় নষ্ট করা হয়েছে, আর নয়। আমাদের মনে হয়, এসব বিভাগে পদ-পদবি বাগাতে যারা টাকা খরচ করেন, তাদের বাদ দিয়ে যারা এসব পদ-পদবি পেতে চেষ্টা-তদবির-সুপারিশের ধারে-কাছে যান না, তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। এতে কিছুটা কাজ হলেও হতে পারে। অন্যথায় নিচের চেয়ারকে সুবিধা দিয়ে সেই সুবিধার অংশ নিজে গ্রহণ করে আবার তা ওপরে পৌঁছে দেয়ার মতো ধান্দাবাজদের যদি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোস্টিং দেয়া হয়, তাহলে যে লাউ সেই কদুই থেকে যাবে।
আর সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, গণপূর্ত, স্বরাষ্ট্র এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নিজ নিজ বিষয়গুলোয় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি থাকলেও উপরোক্ত পাঁচটি মন্ত্রণালয়ই এ বিষয়ে খুব বেশি স্পর্শকাতর।