মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য ও সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কোনো সদিচ্ছা নেই। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সারাদেশের ছাত্ররা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন করেছিলো, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য সরকার যেন ব্যবস্থা নেয়। বাংলাদেশের সব জায়গায় এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিলো।
তখন সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছিলো এ আন্দোলনকে থামানোর জন্য এটা থেকে বোঝা যায় সরকার এ ব্যাপারে মোটেও নাক গলাতে চায় না। এটাতে সরকারের কোনো কিছু আসে যায় না। সড়ক দুর্ঘটনায় যতো লোকই মরুক না কেন তারা এটার দায়িত্ব নিতে চায় না। না হলে এ আন্দোলনকে সমর্থন করে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারতো।
২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২২১ জন নিহত হয়েছেন। এটা প্রমাণ করে যে সরকার নিষ্ঠুরভাবে দমন করেছে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনকে। সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য এবং সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কোনো সদিচ্ছা নেই। সড়ক ব্যবস্থাপনাকে নিরাপদ করার জন্য সরকারের বিন্দুমাত্র সদিচ্ছ নেই। থাকলে এমনটা হতো না। যদি ইচ্ছা থাকতো তাহলে নিয়ম সবাই মানতো। রাস্তাঘাটে কীভাবে গাড়ি চালাতে হয়, কোন লেনে চালাতে হয় এটা মানতো।
ট্রাফিক আইন সবাই মানতো। রোড পারমিটবিহীন বহু যানবাহন দেখা যায় রাস্তায়। একগাদা পুলিশ দিয়ে রাখে যারা ট্রাফিক আইনের সম্পর্কে জানেন না। যারা গাড়ি চালাচ্ছেন তারা পুরোপুরি দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকে গাড়ি চালাবেন কী চালাবেন না। সবগুলোই অব্যবস্থাপনার চিত্র। এ চিত্রের ফল হচ্ছে এতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া। সম্পূর্ণভাবে সরকারের অনিচ্ছা এবং এ ব্যাপারে তারা কোনো গুরুত্ব দিতে বা দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। অব্যবস্থাপনা যেটা রয়েছে সেটা তারা বজায় রাখতে চাচ্ছে বলে মনে করেন এই মানবাধিকার কর্মী।