লিহান লিমা: আসছে সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশি জনগণের অধিকার নিশ্চিতকরণে ব্রিটিশ সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক। ১৭ ডিসেম্বর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্যানেল আলোচনায় এই মন্তব্য করেন রুপা।
তিনি বলেন, আমি তিনজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এমপির একজন। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ও বিরোধী রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি বর্তমান প্রশাসনের সব কার্যক্রম উপলব্ধি করার ক্ষমতা রাখি যা কিনা সত্যিকার অর্থেই সমালোচনার দাবি রাখে। গত বছর আমরা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলিয় নেত্রী বেগম খালেজা জিয়ার সঙ্গে দেখা করি। এরপর তাকে ঘরবন্দি করা হয়। এখন তিনি কারাবন্দি আছেন। এবং এই পরিস্থিতিতে শুধু তিনি একা নন।
রুপা জানান, সপ্তাহখানেক আগে ১০০দিনেরও বেশি কারাবন্দি থেকে মুক্তিপান বিখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। সারা বিশ্বের চোখ যখন রোহিঙ্গাদের দিকে এবং বিশ্ব যখন ৭ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করছে তখন তার নিজ দেশের পরিস্থিতিই খারাপ। জুলাইতে হাজারো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর কর্তৃপক্ষ জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এই বছরের মার্চে ‘বার্টেলম্যান স্টিফটুং থিংকট্যাংক’ বাংলাদেশকে গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে যাওয়া দেশগুলোর একটি বলে ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার, রাশিয়া ও বেলারুশ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশ জোরপূর্বক গুম, বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী ও নেতাদের ওপর হামলার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মুক্তমত রুদ্ধ ও গ্রেপ্তারি কর্মকা- চালানো হচ্ছে। রুপা বলেন, এটিই বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি।
রুপা হক বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে কমনওয়েলথ এর বর্তমান চেয়ারম্যান। ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ যেন তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে ও সুষ্ঠু এবং নিরাপেক্ষ নির্বাচন হয় তা নিশ্চিতে কমনওয়েলথ চার্টারের অধিনে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। ডিসেম্বরে নির্বাচনে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের অনেক কিছুই করার আছে। সময় মানবাধিকার রক্ষার, এবং এটি শুধু রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেই নয় বাংলাদেশের জনগণের ক্ষেত্রেও, যারা কিনা মতপ্রকাশের দায়ে নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের হুমকির মধ্যে বাস করছেন। পলিটিকস হোম।
আপনার মতামত লিখুন :