শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:০০ সকাল
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অবৈধ সিগারেটের বিরুদ্ধে এনবিআরের অভিযান

রমজান আলী : চলতি অর্থ বছরে প্রতি ১০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেটের দাম সরকার সর্বনিন্ম ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে। আর দেশের বাজার ঘুরে দেখা যায় অন্য চিত্র। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি প্যাকেট সিগারেট বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকায়। নকল ব্যান্ডরোল সংযুক্ত করে কম দামে সিগারেট বিক্রি করায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিন্ম স্তরের প্রতি প্যাকেট (১০ শলাকা প্যাকেট) সিগারেটের দাম ২৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ টাকা করা হয়। ৩৫ টাকা প্যাকেটের সিগারেট থেকে বিভিন্ন কর বাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হয় প্রায় ২৫ টাকা। রাজস্বের টাকা সিগারেট বাজারজাতকরণ করার আগেই পরিশোধ করতে হয়। বৈধভাবে কেউ সিগারেট বাজারজাত করতে চাইলে অবশ্যই ৩৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে।

কিন্তু চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু অসাধু উৎপাদনকারী মাত্র ১৫-২০ টাকা দামে সিগারেট বিক্রি করছে। নকল ব্যান্ডরোল দিয়ে এসব সিগারেট বাজারজাত করায় সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর বাজারের ৮০ শতাংশই দখল করে রেখেছে কমদামী বা নিম্নস্তরের সিগারেট।

জানা গেছে, সেনরগোল্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট উৎপাদন করছে এসভি ট্যোবাকো, হেরিটেজ ট্যোবাকো, ন্যাশনাল ট্যোবাকো, ভারগো ট্যোবাকোস বেশ কয়েকটি কোম্পানি। বিধি মোতাবেক একটি ব্রান্ডের সিগারেট উৎপাদনের জন্য রাজস্ব বোর্ডেও মুসক-১ অনুমোদন নিতে হয়। অবৈধভাবে একই নামে একাধিক কোম্পানি সিগারেট উৎপাদন করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

দেশের বাজারে সাধারণত তিন ধরণের অবৈধ সিগারেট বিক্রি হচ্ছে । রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নকল ব্যান্ডরোল দিয়ে স্থানীয় ভাবে উৎপাদন করে। বিদেশ থেকে চোরাচালানেরর মাধ্যমে সিগারেট এনে এবং নামী দামি ব্রান্ডের সিগারেট নকল করে বিক্রি করছে অসাধু চক্র।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নকল ব্যান্ড রোল দিয়ে বাজারজাত করা সিগারেটে মুনাফা বেশি হয়। যেকারণে খুচরা ব্যবসায়ীরা কমদামী সিগারেট বিক্রিতে আগ্রহী।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকার সিগারেট কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছিল। চলতি অর্থবছরের এখাতের রাজস্বের পরিমান বৃদ্ধিও পরিবর্তে কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখাত থেকে সরকার প্রতিবছর ১৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যে কারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে নকল ব্যান্ডরোলের সিগারেট পরিহার করতে জনসচেতনামূলক প্রচারভিযান শুরু করেছে।

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহরের বাইরের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় অবৈধ সিগারেট পরিবহন, পরিবেশন, বিক্রয় এবং ক্রয় করা দন্ডনীয় অপরাধ” লেখা পোস্টার শাটানো হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস এক্সাসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েক মাসে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সহায়তায় লাখ লাখ টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ করে কাস্টমস। মামলাও হয়েছে ১০টির মতো। এ ছাড়া সিলেটে এনবিআরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।

এবিষয়ে রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস এক্সাসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে আমরা নকল ব্যান্ডরোলে সিগারেট বাজারজাত বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতি বছর এই কর্মসূচি পালন করা হলেও এবছর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারনে সারা বাংলাদেশেই একটা সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে।’ তিনি জানান, এসকল অবৈধ সিগারেট দেশের অন্যান্য জেলায় উৎপাদন করে ভ্যাট না দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিতরণ করছে। সূত্র : জনকন্ঠ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়