শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ দুপুর
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এভাবে চললে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে

সমকাল : সবাই চাচ্ছে সহিংসতা বন্ধ হোক। এভাবে সহিংসতা হলে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। সহিংসতা কেন- তার কারণ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে কোনো স্যাবোটাজ আছে কি-না, তাও বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে। কারণ বিভিন্ন জরিপে, আন্তর্জাতিক মিডিয়ার পর্যবেক্ষণে এখন পর্যন্ত সরকারি দল জয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে, সেই তথ্যই আসছে। আর গত কয়েক বছরে সরকারি দল ভালো কাজ করেছে, দেশের উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ উন্নয়ন, অগ্রগতির অবশ্যই মূল্যায়ন করবে। এ কারণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটেই সরকারি দল বিজয়ী হবে- এমন প্রত্যাশার

সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এভাবে সংঘাত, সহিংসতা চলতে থাকলে সরকারি দল জনগণের প্রকৃত ভোটে বিজয়ী হলেও নির্বাচনের সেই ফল নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- এই প্রশ্ন তোলার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে কেন?

প্রচারের শুরু থেকেই যেভাবে সহিংসতা হচ্ছে, তাতে আরও একটা প্রশ্ন আসছে। পরিস্থিতির ওপর কি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ নেই, কিংবা কমিশন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে? এ প্রশ্নের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ হারালে চলবে না। নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। কমিশনকে অবশ্যই এ সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

কিন্তু এটাও সত্য, যতই শক্তিশালী হোক, নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়। একটি গ্রহণযোগ্য, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং গণমাধ্যমকে নির্বাচন কমিশনের কাজে সক্রিয় সহযোগিতা করতে হবে। সবার সহযোগিতা পেলেই কেবল নির্বাচন কমিশন অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হবে। আবার সবার সহযোগিতা নিশ্চিত করতেও নির্বাচন কমিশনকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইসিকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সরকারি প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়। এ কারণে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনও নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, শান্তিপূর্ণ ও শঙ্কামুক্ত পরিবেশ নির্বাচনের দিন ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখন যদি প্রচারের শুরু থেকেই এভাবে সহিংসতা চলতে থাকে, তাহলে নির্বাচনের দিনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিয়ে আগে থেকেই শঙ্কা সৃষ্টি হবে। তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ সহিংসতা বন্ধ হতেই হবে।

সহিংসতার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকলে তাও খুঁজে বের করতে হবে। আজ থেকেই সহিংসতা বন্ধ হোক, ভোটের মাঠে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকুক- এটাই প্রত্যাশা করি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়