শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৫৭ দুপুর
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অবিনশ্বর এক নাম

অনলাইন ডেস্ক : লন্ডন, মেলবোর্ন হয়ে ডানেডিন বিশ্বের যে প্রান্তেই ক্রিকেট খেলেন মাশরাফি, সাকিব, তামিমরা, সেখানকার সুনীল আকাশে পতপত করে উড়তে থাকে লাল-সবুজ পতাকা। সবুজ ঘাসে দাঁড়িয়ে সমস্বরে যখন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ জাতীয় সংগীত গাইতে থাকেন, তখন হাজার হাজার মাইল দূরে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালি তাদের সঙ্গে গলা মেলান, কণ্ঠের মাধুর্য ঢেলে গাইতে থাকেন। ১৯৭১ সালে পরিস্থিতি এত সহজ ছিল না। একটি স্বাধীন ভূখ , একটি পতাকা ও একটি জাতীয় সংগীতের জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে জলে, স্থলে ও আকাশে যুদ্ধ করেছিল সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। স্বাধীনতা যুদ্ধে ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’-এর অবদান অবিস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশের ফুটবলার ও সংগঠকরা একত্রিত হয়ে ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’ নামে পশ্চিম বাংলার আনাচে-কানাচে ফুটবল খেলেছেন। লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে জাতীয় সংগীত গেয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন গোটা দেশকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে যাওয়া একটি নাম ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’।

বিজয়ের ৪৭ বছর উদযাপন করছে গোটা দেশ। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অনেকে আজ বেঁচে নেই। যারা আছেন, তারা এখনো মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়গুলোকে বুকে ধারণ করে বেঁচে আছেন মাথা উঁচু করে। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার ও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য কাজী সালাউদ্দিন আবেগতাড়িত হয়ে সে জন্যই বলেন, ‘আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজগুলোর একটি মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের জন্য কাজ করতে পারা।’ মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস কেউ সম্মুখ সমরে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, কেউ গান শুনিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। কেউ আবার ফুটবল খেলে।

বাংলাদেশের ৩১ জন ফুটবলযোদ্ধা পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন একাদশের সঙ্গে ফুটবল ম্যাচ খেলে দেশের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন। বিশ্ব ইতিহাসে এমন নজির আর নেই। কোনো দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ফুটবলযোদ্ধা দেখা যায়নি। ইতিহাসের কোথাও লেখা নেই এমন ফুটবলযোদ্ধাদের কথা। ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’ বিশ্ব ইতিহাসে একমাত্র যোদ্ধা, যারা দেশমাতৃকার স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দলটির অনেকেই আজ বেঁচে নেই। অনেকে আছেন আমজনতা হয়ে। যারা মারা গেছেন এবং যারা ভালো অবস্থানে নেই, তাদের জন্য মন কাঁদে বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনের, ‘মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়টার কথা আমৃত্যু মনে থাকবে।

দেশের বাইরে থাকলেও মন কাঁদত দেশের জন্য। আমরা একে অপরকে উৎসাহিত করতাম। আমরা ছিলাম একটি পরিবার হয়ে। আজ অনেকেই বেঁচে নেই। অনেকেই খুব ভালো অবস্থানে নেই। এসব ভেবে খুব কষ্ট পাই। দেখতে দেখতে ৪৬ বছর হয়ে গেছে। অথচ মনে হয়, এই তো সেদিন আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি।’ বাংলাদেশ এখন স্বাধীন একটি দেশ। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত একটি মুখ। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’ চিরন্ময় হয়ে থাকবে। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়