মহিব আল হাসান : দেশীয় চলচ্চিত্রের বরেণ্য নির্মাতা পৃথিবীর মায়া ছেরে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন গতকাল (১৪ ডিসেম্বর) শুক্রবার। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গন শোকে কাতার। আর এ জন্য চলচ্চিত্র সমিতি তিন তিনের শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতি। স্থগিত করা হয়েছে সব চলচ্চিত্রের শুটিংসহ অন্যান্য অনেক কার্যক্রম।
এফডিসিতে চলছিলো নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল পরিচালিত ‘জ্যাম’ ও মোহাম্মদ আসলাম পরিচালিত 'প্রতিশোধের আগুন' ছবি দুটির শুটিং। কিন্তু আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর পর শুটিং বন্ধ রাখা হয়েছে। শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে উঠানো হয়েছে কালো পতাকা।
বিষয়টি নিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান আমাদের সময় ডট কমকে বলেন, ‘আমজাদ হোসেন আমাদের সমিতির সদস্য নন। কিন্তু তিনি আমাদের পথ প্রদর্শক। তার হাত ধরেই এদেশের অনেক শিল্পী আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এই গুণীর মৃত্যু আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। তাই আমরা তার প্রতি সম্মান জানিয়ে সব কাজ স্থগিত করেছি।’
এদিকে আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল শিল্পী সমিতি। সেটিও স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান জায়েদ খান।
এ বিষয়ে মাসুম বাবুল বলেন, “আমজাদ হোসেন শুধু একজন নির্মাতা বা অভিনেতা নন। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। এমন মানুষের চলে যাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় কষ্টের। গতকাল বেলা ৩টার দিকে জানতে পেয়েছিলাম আমজাদ ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এই খবর শোনামাত্রই ‘জ্যাম’-এর শুটিং বন্ধ করেছি। ইউনিটের উপস্থিত সবাই স্তব্ধ হয়েছিল। আমি নিজেও কোনো কাজ করতে পারছিলাম না।”
উল্লেখ্য, দেশে প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক নেওয়া হয়। গত ২৭শে নভেম্বর মধ্যরাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে তিনি প্র্যাত নিউরোসার্জন টিরা ট্যাংভিরিয়াপাইবুনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সেখানে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ছবিটি পরিচালনা করেন ১৯৬৭ সালে। পরিচালক হিসেবে ‘নয়নমনি’ (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
আপনার মতামত লিখুন :