শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:১৪ রাত
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমুদ্রের দূষণ ঠেকাবে ডাঙ্গার মানুষের সচেতনতা

সাবরিনা হাসান : নীল সমুদ্র দেখতে কার না ভালো লাগে? কিন্তু উপগ্রহের পাঠানো দূর থেকে নেয়া ছবিতে যতটা নীল মনে হয় আসলেই কি সমুদ্র ততটাই নীল আছে এখনো? না। নানা রকম ময়লা আবর্জনায় সমুদ্রগুলো ভরে গেছে। মনুষ্য সৃষ্ট আবর্জনা এখন পৌঁছে গেছে হাজার হাজার মিটার গভীরে সমুদ্রের তলদেশেও। বিপন্ন করছে সেখানকার আদিম জীববৈচিত্র। অনেকগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন থাকা সত্ত্বেও ডাঙ্গার মানুষদের প্রতিদিনের কার্যকলাপ সমদ্রকে কেবল দূষিতই করে চলেছে।

জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা ইউএন এনভারনমেন্টের একটা প্রতিবেদনে আছে, সমদ্র দূষণের ৮০ শতাংশই হয়ে থাকে নগর, শিল্প ও কৃষি বর্জ্যের কারণে। সমুদ্র আইন বিষয়ক জাতিসংঘের তৃতীয় সম্মেলনে দূষণের পাঁচটি উৎস চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো, ক. ভূপৃষ্ঠের ওপরে মানুষের কর্মকা- খ. জাতীয় পরিসীমার মধ্যকার সমুদ্র তলদেশে মানুষের তৎপরতা গ. আন্তর্জাতিক পরিসীমার মধ্যকার সমুদ্র তলদেশে মানুষের তৎপরতা ঘ. সরাসরি আবর্জনা ফেলা ঙ. জাহাজ থেকে দূষণ এবং চ. বায়ুম-ল থেকে ও বায়ুম-লের কারণে হওয়া দূষণ।

প্লাস্টিক, মানববর্জ্যসহ নানা কারণে সমদ্র দূষণের ফলে সাগরের পানির অক্সিজেনের মাত্রা জমে গেছে। যার কারণে সাগরের উদ্ভিদ, মাছসহ হাজার রকমের প্রাণ ও প্রাণীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো সরাসরি মিশে যাওয়া বর্জ্য। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ কোন রকম পরিশোধন ছাড়াই মানব শরীরের বর্জ্য সমুদ্রের পানিতে ছেড়ে দেয়। নিয়মিত শিল্প বর্জ্য তো আছেই, সেই সঙ্গে আছে নানা রকম বিষাক্ত বর্জ্যের সাশ্রয়ী বন্দোবস্ত হিসেবে সাগরকে বেছে নেয়া। যার ফলে সমুদ্রের তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে।

পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে তাই আজ সমদ্র দূষণ নিয়ে জোরেশোরে কথা বলা ও কর্মসূচী হাতে নেয়ার সময় এসেছে।

প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, ক্ষেত্রবিশেষে তা বন্ধ করাটা খুবই জরুরি। কারণ কখনোই ধ্বংস না হওয়া এই পদার্থ এখন মিহিকণায় পরিণত হয়ে সব সামুদ্রিক প্রাণীর শরীরে ঢুকে গেছে।

ব্যক্তি পর্যায়ে শিল্প উৎপাদনের বর্জ্য থেকে সমুদ্রকে রক্ষা করা খুব কঠিন। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুনাফার লোভের সঙ্গে সুশাসনের অভাব বর্জ্য পরিশোধনকে অপ্রয়োজনীয় করে তোলে।

যেখানে যেভাবেই পানিদূষণ হোক না কেন, কোন না কোন সময় তা সমুদ্রের পানিতেই এসে মেশে। তাই সার্বিকভাবে পানি দূষণ না ঠেকানো গেলে সমুদ্র দূষণ কমবে না।

সমুদ্রে যাদের আবাস, সেই উদ্ভিদ ও প্রাণীদের জীবন বিপন্ন রেখে ডাঙ্গার মানুষেরাও স্বস্তিতে থাকতে পারবে না। কারণ প্রকৃতি গোটা পৃথিবীর প্রাণসত্ত্বাকে এক সূতায় গেঁথে রেখেছে। সেই মালার কোথাও কোনভাবে ছিঁড়ে গেলে সবাই একসাথেই ধ্বংস হবো। ব্যক্তি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই শুভবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে তো?

লেখিকা : জিয়ামিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যায়নরতা, তিনি ‘সাউথ এশিয়ান জার্নাল অফ ল এন্ড পলিসি’ এর সম্পাদকীয় কমিটির সদস্যা। সম্পাদনা : ইকবাল খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়