রাশিদ রিয়াজ : মঙ্গল গ্রহে কৃষিকাজ সম্ভব বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। এবং তা সম্ভব হলে মানবজাতির জন্যে বাড়তি কৃষি উৎস হয়ে দাঁড়াবে মঙ্গল। মঙ্গল গ্রহ নিয়ে গবেষণা করছেন এমন এক বিজ্ঞানী বলেছেন, সম্ভবত লাল রঙের এ গ্রহটি সবুজ গ্রহে পরিণত করা সম্ভব হবে কৃষিকাজের মাধ্যমে। তবে এজন্যে অপেক্ষা করতে হবে ৫০ বছর। ‘হাও উই উইল লিভ ইন মারস’ বইটির লেখক ও বিজ্ঞানী স্টিফেন পেটরানেক স্টার ইউকে’কে এ তথ্য জানিয়েছে। কিন্তু গাছ ও অন্য সব প্রাণীর জন্যে যে অক্সিজেন প্রয়োজন তা মঙ্গলে কিভাবে মিলবে এবং টিকে থাকতে হলে যে উষ্ণতা দরকার তা কিভাবে পাওয়া যাবে এটাই বিজ্ঞানীদের কাছে প্রথম বিবেচনা।
স্টিফেন বলেন, বিষয়টি কিছুটা জটিল। গাছ অক্সিজেন নেয়, কার্বন ডাইঅক্সাইড ছাড়ে। কিন্তু গাছের কিছু অক্সিজেন প্রয়োজন হয় শ^সন প্রক্রিয়ার জন্যে। একই সঙ্গে শুধুমাত্র কার্বনডাইঅক্সাই এসিডের পরিমান বাড়িয়ে দেয় ও গাছ মরে যেতে পারে। কিন্তু এমন এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করা সম্ভব যাতে মঙ্গলেও গাছ প্রচুর অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারবে। মঙ্গলে যে গড় মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা কঠিন ঠা-া রয়েছে এবং এমন শীতে কৃষি যে অসম্ভব মনে করা হয় তাও সম্ভব করে তোলা যায়। এবং মঙ্গলে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে উষ্ণ করে তোলার মধ্যে দিয়েই তা করা যাবে। কক্ষপথে বিশাল আকারের সৌর আয়না বসিয়ে সূর্যের তাপকে প্রতিফলিত করে মঙ্গলের দিকে ফেললে সেখানকার আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে উঠবে। মঙ্গলের মত একটি অস্বাভাবিক গ্রহকে মানুষের হস্তক্ষেপ দ্বারা এভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব।
এভাবে মঙ্গলে হিমায়িত কার্বন ডাইঅক্সাইডেকে উষ্ণ করে গ্যাসে পরিণত করলে সার্বিক উষ্ণতা আরো বৃদ্ধি পাবে। এতে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তনে খাল, নদী এমনকি ছোট সমুদ্র তৈরি হয়ে যাবে। এভাবে মঙ্গলে পানির উৎস পাওয়ার সাথে সাথে তা সূর্যের তাপ ধরে রাখার কাজ করবে। তৈরি হবে মেঘ এবং তা থেকে বৃষ্টি ও বরফ। জেনেটিক্যালি মোডিফাইড কিছু গাছ মঙ্গলে এমনিতেই টিকে থাকতে পারে। এখন এমন গাছ উদ্ভাবন করার চেষ্টা হচ্ছে যা শুধুমাত্র কার্বন ডাইঅক্সাইডে বেঁচে থাকতে পারবে ও মঙ্গলে অক্সিজেন ছাড়াবে। বড় ধরনের গ্রিন হাউজ তৈরি করেও তা করা সম্ভব হবে।
আপনার মতামত লিখুন :