আমাদের সময় : সংশোধনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয় অপরাধীদের। অপরাধের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে কাউকে স্বল্পমেয়াদ, দীর্ঘমেয়াদ কিংবা যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। কিন্তু যে মেয়াদেরই হোক, চার দেয়ালে বন্দি এ জীবন চায় না কেউ। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার লোকজন চায়। তাদের কারাগারে থাকার ‘শখ’ এতোই বেশি যে, এজন্য কারা কর্তৃপক্ষকে টাকাও দেই।
অন্যান্য দেশের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার চাকরির বাজারও বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চাপে থাকতে হয় সব সময়। এ ছাড়া ৩৬টি দেশের ওপর ওইসিডির করা এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরীয়রা গড়ে ২ হাজার ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছেন। এমন চাপ থেকে মুক্তি পেতে চান তারা। তাই সব মিলিয়ে কাজ আর পড়ালেখার চাপ থেকে মুক্তি পেতে স্বেচ্ছায় কারাগারে যাচ্ছেন।
২০১৩ সালে ‘প্রিজন ইনসাইড মি’ নামে এক নকল কারাগারে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষ থেকেছেন। এটা অনেকটা কারাগারের মতোই। কারণ কয়েদিদের মতো সবার এক পোশাক রয়েছে। খাবারও দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ে। তবে সেখানে যাওয়ার জন্য প্রত্যেককে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। সূত্র : ডয়চে ভেলে