নিজস্ব প্রতিবেদক : ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে ইমার্জিং এশিয়া কাপ-২০১৮ এর আসর। আসরে বাংলাদেশের অংশ নেয়া নির্ভর করছে সরকারের অনুমতির উপর। কেননা গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। তাই পাকিস্তান সফরের জন্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
আজ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে টুর্নামেন্টের সময়সূচী প্রকাশ করেছে। সূচী প্রকাশের কিছুসময় আগে জালাল ইউনুস জানান, ‘আমরা সরকারের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছি। যদি আমরা অনুমতি পাই তাহলে টুর্নামেন্টে অংশ নিব আমরা।’
টুর্নামেন্টের নিরাপত্তা বোর্ড এবং সরকারকে সন্তুষ্ট করলেই পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। আর সেটা যদি হয় তাহলে ক্রিকেটের প্রতি অগাধ আগ্রহের কারণেই তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
‘আমরা তখনই দল পাঠাব যখন নিরাপত্তার ব্যাপারটি আমাদের সন্তুষ্ট করবে। তবে সরকারের সবুজ সংকেতের উপর নিভূর করছে সব কিছু। যদি আমরা পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে উড়ে যাই, তাহলে সেটা হবে ক্রিকেটের প্রতি গভীর আগ্রহের জন্য’। ক্রিকেটবিষযক ওয়েবসাইট ক্রিকফ্রেঞ্জিকে এভাবে বলেছিলেন জালাল ইউনুস।
এসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রথম দিনেই ৬ ডিসেম্বর আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ, হংকং, পাকিস্তান ও আরব আমিরাত এই চার দল রয়েছে গ্রুপ ‘বি’। ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ভারত এবং ওমান। আগামী ১৫ ডিসেম্বর ফাইনালের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টটির সেমিফাইনাল ও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর হামলার পর থেকে পাকিস্তানে মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এরপর বাইরের কোন দেশই পাকিস্তানের বিপক্ষে তাঁদের মাটিতে খেলতে যায়নি। গত এপ্রিলে পাকিস্তানের মাটিতে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের কথা থাকলেও বাংলাদেশ ও ভারত তা নাকচ করে দেয়। তাই এবার শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান দুই দেশ মিলে আয়োজন করেছে ২০১৮ ইমার্জিং কাপ।