শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:১৬ সকাল
আপডেট : ১৬ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে ৩০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে ভারতীয় উইন্ড এনার্জি

শাহীন চৌধুরী: বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান জ্বলানি সংকটের কারণে নবায়নযোগ্য জ্বলানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফেনীর সোনাগাজিতে ৩০ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে ভারতীয় কোম্পানি উইন্ড এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেড। বাংলাদেশে বৃহৎ পরিসরে এই প্রথম কোনো উইন্ড মিল স্থাপিত হবে। এর আগে যে দুই জায়গায় ইউন্ড মিল করা হয়েছে তার পরিমাণে এক মেগাওয়াটের কম। ভারত তার উপকূলে ২৭ হাজার মেগাওয়াট উইন্ড মিল স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের উপকূলেও অন্তত ১০ হাজার মেগাওয়াট উইন্ডমিল স্থাপনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে জানা যায়।

উইন্ড এনার্জি বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে পরিকল্পনা দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ৩০ মেটাওয়াটের কেন্দ্রটির জন্য মোট ১৫টি উইন্ড মিল বসানো হবে। প্রতিটি উইন্ড মিল ২ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। বিদ্যুৎ বিভাগের নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ১১ দশমিক ১ সেন্ট প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ দেখানো হয়েছে। এই দাম দেশের সৌর ও তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে কম। তিনি বলেন, আরো ব্যাপকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে বায়ু বিদ্যুতের দাম আরো কমে আসতে পারে।

সম্প্রতি আমেরিকার ন্যাশনাল রিনিউয়েবেল এনার্জি ল্যাবরেটরি (এনআরইএল) বাংলাদশের উইন্ড ম্যাপিং-এর ফল প্রকাশ করে বলেছে বাংলাদেশে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আলাউদ্দিন বলেন, প্রস্তাবটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। বর্তমানে তা সরকারের ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ক্রয় কমিটির অনুমোদন পাওয়া গেলে কার্যাদেশ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রকল্প (আইপিপি) ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) স্বাক্ষর করবে ক্রয় চুক্তি।

সূত্র জানায়, সাধারণত ২ দশমিক ৩ থেকে ২ দশমিক ৫ মিটার/ সেকেন্ড হলেই বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব সেক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম বেশি পড়ে। কিন্তু ৫ থেকে ৬ মিটার/ সেকেন্ড বাতাসের গতিবেগ হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করা সম্ভব। এখন আধুনিক প্রযুক্তি এসেছে একটি টারবাইন দিয়ে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৫ থেকে ৬ মিটার/ সেকেন্ড বাতাসের গতিবেগ রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখিত ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প সফল হলে বাংলাদেশে অনেকে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে এগিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের নিউ অ্যান্ড রিনিউবেল এনার্জি মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে তাদের দেশে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ ২ দশমিক ৪৪ রুপি বা তিন সেন্ট দেখানো হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ দশমিক ৫২ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশের দেশের গ্যাস চালিত বিদ্যুতের চেয়ে ভারতে বায়ু বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কম। বায়ু বিদ্যুতে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। বাংলাদেশের উপকূলে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি বায়ুর প্রবাহ কম থাকলেও বাকি নয় মাস বাতাস থাকে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশে এক হাজার ২০০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকা রয়েছে সেখানে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভবনা থাকলেও কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে এখনই দৃষ্টি দেয়া উচিৎ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়