শিরোনাম
◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া? বিএনপি–জামায়াতের মধ্যে আলোচনা উদ্যোগ ◈ আজ ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ◈ ভয়ানক অভিযোগ জাহানারার, তোলপাড় ক্রিকেটাঙ্গন (ভিডিও) ◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সময়মতো জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান বিএনপির স্থায়ী কমিটির ◈ কমিশনের মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আপ্যায়ন বাবদ ব্যয়  ৪৫ লাখ টাকা ◈ ভার‌তের কা‌ছে পাত্তাই পে‌লো না অস্ট্রেলিয়া, ম‌্যাচ হার‌লো ৪২ রা‌নে ◈ শুল্ক চুক্তির অধীনে মা‌র্কিন উ‌ড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কিনছে বাংলাদেশ ◈ টিটিপাড়ায় ৬ লেনের আন্ডারপাস, গাড়ি চলাচল শুরু শিগগিরই (ভিডিও) ◈ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বার্তা ◈ ভালোবাসার টানে মালিকের সঙ্গে ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির!

প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৩৬ দুপুর
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বয়েজ ক্লাব, বাংলাদেশের জন্য?

টিম স্টিল: ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব বয়েজ ক্লাব-এনএবিসি’র একজন বোর্ড সদস্য হিসাবে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আমার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে বাংলাদেশে। এরমধ্যে বেশিরভাগ সময় কেটেছে দেশটির বিভিন্ন শহুরে এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে ঘুরে বেড়ানো সুবিধাবঞ্চিত তরুণদের নিয়ে। এসব কার্যক্রমের সাথে মধ্য ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে যুক্ত্যরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে বিরাজমান পরিস্থিতির যথেষ্ট মিল রয়েছে।

যদিও, বাংলাদেশে আমার অন্যতম ব্যক্তিগত অবদান হিসাবে, বাংলাদেশ ইয়ুথ এন্টারপ্রাইজ অ্যাডভাইস এন্ড হেল্পসেন্টারের(বি'ইয়া)উন্নয়নে অবদান রাখাকেই গণ্য করি।

সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য শ্রেয়তর জীবনযাপন নিশ্চিতে আধুনিক পদ্ধতি নিয়ে সংস্থাটি কাজ করলেও, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠিতে কার্যকর সাড়া ফেলতে পারেনি।

বৈষম্য আইন এড়াতে যুক্তরাজ্যের সরকার বাধ্য হয়ে এনএবিসি’র সাথে গার্লস ক্লাবগুলোকে যুক্ত করার পর আমি কাজ শুরু করলেও, এমন পদক্ষেপের যৌক্তিকতা নিয়ে বিস্মিত হতাম।

এর কয়েক বছর আগে, যখন এনএবিসি’র সহকারি মহাসচিব প্রায়ত নেভিল গুডরিচ আমাকে কাজ করার প্রস্তাব দিলেন, তখন সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেই তাতে সাড়া দেই। তিনি আমাকে বেশ কিছু ক্লাব ঘুরে ফিরে দেখতে বললেন। আমি দেখলামও। তারপর তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, বয়েজ ও গার্লস ক্লাব হলেই তো প্রাসঙ্গিক হতো? তার সাদামাটা উত্তরে বিস্মিত হলাম। বললেন, ‘আমার বান্ধবী আছে, কিন্তু আমি আমার সময় ও অবকাশ বন্ধুদের সাথে কাটাতে চাই’। এক্ষেত্রে তিনি হয়তো স্থান ও সহচর বলতে বক্সিং, টেবিল টেনিস, ভলিবল, জুডো বা বেশি বুদ্ধিমত্তার দাবা খেলার মতো ইনডোর গেমসে বুঝাতে চেয়েছেন।

ঊনিশ শতকের মধ্য থেকে শেষ ভাগে যখন ব্রিটেন ও আমেরিকায় শিল্পায়ন শুরু হল, তখন বিশাল একটি জনগোষ্ঠি গ্রাম ছেড়ে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য এ শিল্প কেন্দ্রগুলোতে বসবাস শুরু করলো। তারা যখন গ্রামে ছিলো, তখন সব বয়সের মানুষকেই কাজে ও অবসরে পাশাপাশি দেখা যেতো।

লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেষ্টারের মতো বর্ধমান শহরের ক্লাবগুলোর খুব কমই পরিচালিত হতো প্রধান সরকারি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা।

এভাবেই স্টো, রাগবি, হ্যারো, ওয়েস্টমিনিস্টার, সালগ্রেভ ও ইনস অব কোর্টের মতো ক্লাবগুলো গড়ে উঠছে স্বক্রিয় পৃষ্ঠপোষকদের কর্মী ও লোকজন দিয়ে। শুধু তাই নয় ক্লাবগুলোর সার্বিক দেখভালও তারা করতো।বিংশ শতাব্দির শুরুতে জাতীয় ফেডারেশনের উদ্ভব হবার পর, ছেলেদের বিকাশের পথ আরো বিস্তৃত হয়।

এসব কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিলো সুস্থ মন ও শরীর গঠন। আর এসবের পেছনে ছিলো সব ধর্মের মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন।

আজকের বাংলাদেশে বিত্তবান ও বিত্তহীন তরুণদের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারে দেশটির সমৃদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সফল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো।

সুবিধাভোগী যুবক এবং তাদের বেতনভোগী পরামর্শদাতারা সামাজিক সচেতনা সম্পর্কে বেশি জানতে পারে এবং সমাজকে সাহায্য করতে পারে। সেই সাথে অবদান রাখতে পারে সমাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনেও।

একটা সময় ছিলো যখন গার্লস ক্লাবগুলো কখনই বয়েজ ক্লাবগুলোর মতো কৃতিত্ব অর্জনে করতে পারতো না। বর্তমানে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। উভয় লিঙ্গের জন্যই এখন রয়েছে সমান সুযোগ। পশ্চিমা বিশ্ব থেকে শিক্ষা নেয়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের সমাজেও মূ্ল্যবোধ এখনো প্রখর। সেই সাথে সামাজিক বিবর্তনের অনেক দিক দিয়ে আগের যে কোন সময়ের চাইতে আরো উন্নত। আর, এসব কারণেই বাংলাদেশের জন্য বয়েজ ক্লাব কেন নয়?

লেখক: বিপণন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ

E-mail: inceltica@yahoo.com

(অনুবাদ করেছেন মাসুদ কামাল)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়