শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:০১ সকাল
আপডেট : ০২ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আকাশগঙ্গার মধ্যভাগে দানবীয় কৃষ্ণগহ্বর প্রত্যক্ষ করলেন বিজ্ঞানীরা

নূর মাজিদ : মহাকাশ একটি অপার রহস্যের বিপুল প্রসারিত স্থান, সেখানে মানবিয় সাধ্যের বাহিরেই অবস্থান করে এমন সব বিস্ময়কর বস্তুর অবস্থান-যাদের কাছে প্রচলিত প্রযুক্তির বিকাশ অব্যাহত থাকলেও সেখানে পৌঁছতে মানুষের হাজার বা লাখ লাখ বছর সময়ের প্রয়োজন হবে। তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই সকল অসাধ্য বস্তুর দৃশ্যপ্রত্যক্ষ করতে ব্যবহার করেন স্পেস টেলিস্কোপ। বিশ্বজুড়ে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এমন কিছু মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে কাজ করেন, যার সঙ্গে রেডিও-ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ সংযুক্ত থাকে। একটি মহাকাশ গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হলো চিলিতে স্থাপিত ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির চারটি সুবৃহৎ টেলিস্কোপ। এই চারটি টেলিস্কোপের রেডিও ইনফ্রারেড সিগন্যালের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যকে একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে বিশ্লেষন করে আমাদের ছায়াপথের মধ্যভাগে অবস্থিত স্যাগিটিয়ারাস-এ নামের সর্ববৃহৎ কৃষ্ণগহ্বরের পরিষ্কার চিত্র দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা নামে পরিচিত আমাদের ছায়াপথের সর্ববৃহৎ কৃষ্ণগহ্বর এটি। এর আকার এতটাই বিশাল যে বিজ্ঞানীদের ধারণা আমাদের সূর্যের মতো কয়েক কোটি নক্ষত্র এবং তাদের সৌরমন্ডলকে গ্রাস করেছে স্যাগিটিয়ারাস-এ।

একটি ব্লাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরকে কখনোই সরাসরি প্রত্যক্ষ করা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা স্যাগিটিয়ারাস-এ এর আকর্ষণে কেন্দ্রীভূত হওয়া গ্যাসপুঞ্জের চিত্র ধারণের করার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত এর সবচাইতে পরিষ্কার চিত্র প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হয়েছেন। কৃষ্ণগহ্বরের তুলনামূলক নিকটে অবস্থিত এসকল গ্যাসীয় মেঘমালা তীব্র মধ্যাকর্ষণের চাপে প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। এই গ্যাসপুঞ্জের তাপমাত্রা কয়েক বিলিয়ন ডিগ্রী, যার উজ্জলতা অনেক বৃহৎ নক্ষত্রের চাইতেও অনেকগুণ বেশি। বিজ্ঞানীরা এই গ্যাসীয় মেঘমালার এমন পরিষ্কার চিত্র এবার পেয়েছেন যার মাধ্যমে তারা কৃষ্ণগহ্বরটির বলয়ের পরিধিও অনুমান করতে পারবেন।

মহাশূন্যের সবচাইতে রহস্যজনক মহাজাগতিক বস্তুর মাঝে একটি হলো কৃষ্ণগহ্বর। এমনকি বিজ্ঞানী আইনস্টাইনও এর অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। যদিও তার আপেক্ষিকতার তত্ত্বে কৃষ্ণগহ্বরের থাকার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। কৃষ্ণগহ্বর হলো এমন একটি মহাজাগতিক অস্তিত্ব যার কেন্দ্রে সময় এবং বস্তু তাদের নিজস্বতা হারিয়ে ফেলে। সায়েন্টিফিক আমেরিকান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়