রাশিদ রিয়াজ : ফেসবুকের অ্যাপের মাধ্যমে ৬ ইঞ্চির চেয়ে বড় ‘চাকু’ বা ছুরি কিনছে ব্রিটেনের স্কুলবালকরা। আর এসব ছুরি তাদের স্কুলেই সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে স্কুল বালকদের হাতে এধরনের ছুরি যাওয়ায় ছুরিকাঘাতের মত সন্ত্রাস বাড়ছে বলে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। এইত দিন কয়েক আগেই ড. মাক প্রিন্সের ১৫ বছরের ছেলে কিয়ান তার সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে স্কুল গেটেই নিহত হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে স্কুল গেটেই ছেলেমেয়েরা ছুরি সরবরাহ পেয়ে যাচ্ছে। ফলে ছুরিঘাতের মত অপরাধ এখন সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিরর
এমনিতে বাজারে ছুরি কিনতে গেলে দোকানিরা ক্রেতাদের বয়সের দিকে খেয়াল রাখেন। তাই অপরাধ প্রবণ স্কুল ছাত্ররা ফেসবুক অ্যাপের সহায়তা নিচ্ছে। কারণ ৬ ইঞ্চির চেয়ে বড় ছুরি বিক্রির ব্যাপারে কিছু বিধি রয়েছে। ১২ থেকে ১৫ বছরের ব্রিটিশ স্কুলবালকদের দুই তৃতীয়াংশের কাছেই ছুরি রয়েছে বলে সিনিয়র রাজনীতিবিদরা এজন্যে ফেসবুক ছাড়াও অন্যান্য অনলাইনকে দায়ী করেন। এধরনের সন্ত্রাসে নিহতদের পরিবার, শিক্ষক ও ছেলেমেয়েদের পক্ষ থেকে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে। গত বছর ফেসবুক অ্যাপ অনলাইন বিকিকিনিতে লাভ করে ৩ কোটি পাউন্ড। নিহতদের অভিভাবকরা বলছেন, এধরনের দায়িত¦জ্ঞানহীন বিক্রির জন্যে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বা আমাদের স্বজন হারারোর বেদনাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। কোনো কোনো অনলাইন বিক্রেতা স্কুল টিফিন বা ছুটির সময় বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় বিক্রিত ছুরি পৌঁছে দিচ্ছে। অভিভাবকরা স্কুলে স্কুলে তল্লাশী চালিয়েও এসব ছুরি উদ্ধারের অভিযান শুরুর তাগিদ দিয়েছেন। ১০ পাউন্ড খরচ করার পর একই দিনে মিলে যাচ্ছে ছুরি। ১৮ বছরের নিচে ৬ ইঞ্চির বেশি দীর্ঘ ছুরি যেখানে বিক্রি অনুমোদন নেই সেখানে যে কোনো আকারের ছুরি অনায়াসে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে স্কুলবালকদের হাতে।
আপনার মতামত লিখুন :