শিরোনাম
◈ ইং‌লিশ লি‌গে হোঁচট খে‌লো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ◈ অ্যাস্টন ভিলাকে ৪-১ গো‌লে হারা‌লো আর্সেনাল  ◈ সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পৌঁছেছে খালেদা জিয়ার মরদেহ (ভিডিও) ◈ ব্যক্তিগত বাড়ি–গাড়ি নেই, সম্পদ ১ কোটি ৯৭ লাখ, জানা গেল তারেক রহমানের হলফনামায় ◈ খালেদা জিয়ার জানাজায় জনস্রোত: ভিড় সামলাতে খুলে দেয়া হয়েছে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার গেট ◈ ছেলের বাসায় খালেদা জিয়া, কফিনের পাশে কোরআন তেলাওয়াত করছেন তারেক রহমান ◈ খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দা শর্মা ◈ গোপালগঞ্জে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৭.৫ ডিগ্রি ◈ বিশ্বকাপের টিকিটের দামবৃদ্ধিতে পাত্তাই দিলেন না ফিফা সভাপতি ◈ ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০৪:১৩ সকাল
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০৪:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘কোন দলের হয়ে কথা বলছেন’ এমন প্রশ্ন করতে পারেন না রাজনীতিবিদরা

আফসান চৌধুরী : সাংবাদিক কর্মীদের ক্ষমতা নেই, তাই তাদের সাথে  দুর্ব্যবহার করাটা সুবিধাজনক। বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাতকারে এ মন্তব্য করেছেন, শিক্ষক, লেখক ও গবেষক আফসান চৌধুরী। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার অধিকার আছে। কিন্তু তাতে রাজনীতিবিদরা পাল্টা প্রশ্ন করতে পারেন না, আপনি কোন দলের হয়ে কথা বলছেন। সাংবাদিকরা সাধারণত ক্ষমতাবানদের থেকেই গালি খায়।

রাজনীতিবিদদের যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা উচিত বা আসতে হয় সেটা সবার মধ্যে নেই। টেলিভিশনের একটি আলোচনা নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলে গালি দিয়েছেন। এমন ভাষা তার কি করে আসে? পরবর্তীতে তিনি টেলিফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন একজন সম্পাদক এবং রাজনীতিবিদ হয়ে এমন ব্যবহার করেন কী করে? রাজনীতিবিদরা ধরে নেন, তাদের ব্যাপারে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না। যিনি প্রশ্ন করেন তাদের উত্তেজিত করার জন্যই প্রশ্ন করেন। সেটা তার অধিকার আছে।

তিনি এই ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্যই করতে পারেন। কিন্তু যখন রাজনীতিবিদ মাথাটা গরম করেন, তখন তিনি স্বাভাবিক যে আচরণ সেটা থেকে সরে আসেন। তখন তিনি ভাবেন কার অধিকার আছে এ ধরনের প্রশ্ন করার? এই দুর্ব্যবহার শুধু মাসুদা ভাট্টির ক্ষেত্রেই না এটা আমার সাথেও হয়েছে। আমাকেও অনেকেই বলেছেন, আপনি চুপ করে থাকেন, এতো কথা বলবেন না। সাংবাদিকদের সাথে রাজনীতিবিদরা যে ব্যবহার করে তাতে মনে হয় এটা তাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। সাংবাদিক যখন প্রশ্ন করে তখন তার ব্যক্তিগত ভাল লাগা-খারাপ লাগা থেকে প্রশ্ন করে না, উত্তর জানার জন্য করে। রাজনীতিবিদদের উত্তর দেওয়াটা তার দায়িত্বের মধ্যে পরে এই মানসিকতা তাদের মধ্যে নেই।

 

যদি থাকতো তাহলে এই আচরণগুলো তারা করতো না। তিনি আরও বলেছেন, হয় শত্রুপক্ষ, নয়তো বন্ধু, এর মাঝামাঝি কোনো অবস্থান আর নেই। যার ফলে রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক তারা যখন কথা বলেন, তখন তারা মনে করেন, আমার রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে আমি প্রশ্নটি করছি। এটা আমাদের সংবাদিক জাতিরও অক্ষমতা এবং রাজনীতিবিদদের অক্ষমতা তো বটেই। সূত্র : বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়