শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৬:৩৪ সকাল
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৬:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়ছে ১২১টি দেশে

ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি (২০১৭-১৮) অর্থবছরের শুরু থেকেই ইতিবাচক ধারায় রয়েছে দেশের কৃষি পণ্য রপ্তানি। সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত জুলাই ও আগস্ট মাসে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৮ শতাংশ বেশি। আগের বছরে কৃষিপণ্য রাপ্তানি হয়েছিল ১০ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের। এদিকে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য বিশ্বের ১২১টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। আর গত ছয় অর্থবছরে এ খাত থেকে মোট আয় হয়েছে ৩৫৫ কোটি ৬৫ ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। উদ্যোক্তারা জানান, প্রতি অর্থবছরে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় বাড়ছে।

তবে কিভাবে এ খাত থেকে রপ্তানি আরও বাড়ানো যায় এজন্য সরকারকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে।
ইপিবি’র প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে প্রধান কৃষিপণ্যের মধ্যে চা, সবজি, তামাক, ফুল, ফল, মসলা, শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। আর এসব পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় সবজি জাতীয় কৃষিপণ্য। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, মরিশাস, ভারত, সুইডেন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, কুয়েত, ভুটান, সিয়েরা লিওন, সেনেগালসহ ১২১টি দেশে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। সমপ্রতি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১২১টি দেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেই লক্ষ্যে বিদ্যমান রপ্তানি নীতিতে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক সবক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ চাষ ব্যবস্থা ও উত্তম কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে মাঠ থেকে বাজার নীতি অনুসরণের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া কৃষিপণ্য উন্নয়নে বিভিন্ন গবেষণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে এবং বালাইমুক্ত কৃষিপণ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংকে শক্তিশালী করা হবে। ইপিবি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয় ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ আয় বেড়ে হয় ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আবার রপ্তানি আয় কমে যায়। তখন এ খাত থেকে আয় হয় ৫৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আয় হয় ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আয় হয় ৫৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার। আর সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ আয় বেড়ে হয় ৬৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এই অর্থবছরের পুরো সময়ে কৃষি পণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল ৫৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ডিসিসিআই পরিচালক ইমরান আহমেদ বলেন, কৃষিপণ্য আহরণে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের স্বল্পতা, কোল্ডস্টোরেজের অপ্রতুলতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে প্রতি বছর মোট উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ১২ শতাংশ এবং শাকসবজি ও ফলমূলের ২০ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে। তাই এ দিকগুলো বিবেচনায় এনে এই খাতের সব সমস্যা দূর করতে হবে।
এতে এত কৃষিপণ্য নষ্ট না হয়ে রপ্তানি করা গেলে আয় আরও বাড়বে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বাইরে দিন দিন বাড়ছে কৃষিপণ্যের চাহিদা। আর এ চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ। কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের পর তা রপ্তানির পরিমাণও বাড়ছে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য আমদানি করছে। তাই এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ। শুধু প্রতিবেশী দেশগুলোতেই ১৫০ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানির সুযোগ আছে।
সূত্র : মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়