শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৪:১২ সকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৪:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেরপুরের সীমান্ত অঞ্চলে আদিবাসীদের জীবন-জীবিকা চলে অতি কষ্টে

তপু সরকার হরুন, শেরপুরঃ শেরপুরে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তর্বতী বিস্তীর্ণ এলাকায় বাস করে পাহাড়ি আদিবাসী গারো সম্প্রদায়। মুসলমান, হিন্দু, কোচ, ডালু, বানাই, হদি ইত্যাদি সম্প্রদায়রে পাশাপাশি গারো সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষুধা আর দারিদ্রের সাথে লড়াই করে আজও বেঁচে আছে। এদের অধিকাংশ পরিবারই বন থেকে জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ আর অন্যরে বাড়িতে দিন মজুরী করে জীবিকি নির্বাহ করে। এটা করতে গিয়ে অনেকেই আগাম শ্রম বিক্রি করে সংসার চালায়।

আদিবাসীদের সংগঠন ট্রাইবাল ওয়লে ফয়োর এসোসয়িসেন (টিডাব্লিইএ) সুত্রে জানা গেছে, ৩২৭.৬১ র্বগ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্টি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউনিয়নের ৭৪টি গ্রামের ৫শতাধিক পরিবারে প্রায় ২০ হাজার আদিবাসী সদস্য রয়েছে। এরা র্অাথিক ভাবে দরিদ্র বিধায় প্রকৃতির বিভিন্ন প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করে বসবাস করে আসছে।

আদিবাসীদের মতে, আজ থেকে ২শ বছর আগে সুদুর চীনরে তিব্বত প্রদেশ থেকে আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের আগমন। দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ২ লক্ষের ও বেশি গারো আদিবাসী বিভিন্ন সীমান্তর্বতী অঞ্চলে বাস করে।

আদিকাল থেকেই গারোরা শিকারী পেশায় খুবই দক্ষ ছিল। গারোদের অধিকাংশ পরিবার বনে জঙ্গলে বাস করে থাকে। পারিবারিক দিক দিয়ে গারোরা মাতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত। এ সম্প্রদায়রে প্রধান ও পছন্দনীয় খাবার হলো ভাত ও শূকরের গোশত। পাশাপাশি ‘নাখাম’ বা শুটকি মাছ দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম প্রধান খাদ্য।

শূকরের গোশত পছন্দীয় খাবার হওয়ায় গারোরা নিজ উদ্যোগে শূকর পালন করে থাকে। কৃষিকাজে খুবই পারর্দশী তাই তারা পুরুষের পাশাপাশি কৃষিকাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। তবে অভাবের তাড়নায় অনেক গারো আদিবাসী পরিবার আগাম শ্রম বিক্রি করে থাকে।

গারোরা সংস্কৃতি র্চচা ও অতিথি অপ্যায়নকে খুব পছন্দ করে থাকে। তারা মনে করে ‘সবোই পরম র্ধম’। তারা আরো বিশ্বাস করে নাচে-গানে প্রভু ইশ্বরকে খুশি করা যায়। আর তিনি খুশি হলেই পরকালে র্স্বগ পাওয়া যাবে। প্রাচীনকালে গারোদরে শিক্ষার হার খুব কম ছিল। র্বতমানে প্রায় ৮০ শতাংশ গারো আদিবাসীরা শিক্ষিত। এরা র্বতমান সরকারের সাবকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ প্রশাসনের গুরুত্বর্পুণ পদে দায়ত্বি পালন করছে। গারোদরে একটি নিজস্ব ভাষা আছে যার নাম ‘আচিক ভাষা’।

তারপরও শিক্ষিতরা বাংলায় ও ইংরজেীতে কথা বলতে পারে। গারোরা খ্রীষ্টান র্ধমাবলম্বী হওয়ায় তাদরে প্রধান র্ধমীয় উৎসব এখন বড়দনি। এ ছাড়াও বছররে সব সময় ছোটখাট সামাজকি উৎসব উদযাপন করে থাকে। গারোরা প্রধানত ৬টি গোত্রে বিভুক্ত। এগুলো হলো: আত্তং, মিগাম, আবেং, দোয়াল, চিবক ও রোগা। বাংলাদেশের আবেং গোত্রের লোকই বেশি। গারো সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ লোকই এখন রোমান ক্যাথলিক র্ধমাবলম্বী। খৃষ্টান র্ধমে দিক্ষীত হবার আগে এরা প্রকৃতি পূজারী ছিল। বিয়ে-শাদীর ব্যপারে গারোরা নিজেদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। পাত্র-পাত্রীর পছন্দ অনুযায়ী মশিনারী র্ধমযাযকরা বিয়ের রেজিষ্টেশন করে থাকেন। র্বতমানে গারোদরে পোষাক-পরিচ্ছেদেও আধুনকিতার ছোঁয়া।

লক্ষ্যকর যায়। ময়েরো দকবান্দা-দকশাড়ী ও সেলোয়ার কামিজ আর ছেলেরা র্শাট, প্যান্ট ও লুঙ্গি পরিধান করে। গারো নারীরা
শেরপুর জেলার নালতিাবাড়ীও ঝিনাইগাতী সীমান্তের কিছ পরিবার দারিদ্রের সাথে সংগ্রাম, বিশেষ করে দীর্ঘ দিন ধরে ঘন, ঘন বন্য হাতির আক্রমনের সাথে লড়াই করে এযাবত কালের বাপ-দাদার ভিটায় কোন বেলা খেয়ে আবার কোন বেলা না খেয়ে বেঁচে আছে। কেউ কেউ বন থেকে বাঁশের পাতা সংগ্রহ করে ঘর নির্মাণ করে আদি পুরুষদের আদি নিবাসে বসবাস করছে।

এখনো কিছু কিছু পরিবার বন থেকে লাকড়ী বা জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করে কিংবা পরের বাড়িতে দিন মজুরী করে সংসার চালাচ্ছনে। কেউবা ক্ষুধা তাড়াবার জন্য বন থেকে মাটি খুড়ে গাছ আলু সংগ্রহ করে সিদ্ধ করে খাচ্ছেন। ডালুকোনা গ্রামের এলি সাংমা (৪০) বলেন, আমরা খুব কষ্ট করে সংসার চালাই, সরকারী সাহায্য পাই না। ইচ্ছা থাকা সত্বওে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা করাতে পারছি না।

নালতিাবাড়ীর ট্রাইবাল ওয়লেফয়োর এসোসয়িশেনরে (টডিাব্লউিএ) ভাইস চেয়ারম্যান জানান, এখানকার আদিবাসীদরে জীবন দারদ্র্যি, ভূমি সমস্যা, বন মামলা, এবং বন্য হাতরি তান্ডবে বর্পিযস্ত হয়ে পড়েছে। সামাজকি বনায়নে অনেক দরিদ্র পরিবিরকে অংশীদার বানানো হয়নি।

আদিবাসীনতোরা বলনে সরকার গারো আদিবাসীদরে দিকে ঠিক মতো নজর দয়ে না। শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি আদিবাসীরা বধিবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও অন্যান্য সরকারী সাহায্য সহযোগতিা প্রয়োজনরে তুলনায় খুব কমই পায়। স্থানীয়ভাবে র্কমরত এনজিও গারো আদিবাসীদের নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক র্কাযক্রম পরিচালনা করলেও তাদের বরাদ্ধ আরো বাড়ানো দরকার বলে সচেতন মহল মনে করেন।

নালতিাবাড়ী ও ঝনিাইগাতীর অবহেলিত গারো পাহাড়রের পাদদেশ প্রায় ১৫শত আদিবাসী পরিবার দারিদ্ররে সাথে লড়াই করে বেঁচে আছে। তারা চায় সরকারি সাহায্য ও সহযোগিতার পরিমান বাড়ানো হোক। তাদের দাবি সরকার দয়া করে তাদের দিকে একটু নজর দিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়