শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ০৬:৫৭ সকাল
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ০৬:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিয়ন্ত্রণের দাবী এইড ফাউন্ডেশনের

নিজস্ব প্রতিবেদক:  তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে ও বিপণনের জন্য বাংলাদেশে কোন সু-নির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। এমনকি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্তদের নির্ধারিত কোন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণের ব্যবস্থা নাই। যে কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকা, ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর, খাবারের দোকান, রেষ্টুুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে তামাকজাত পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। সহজ লভ্যতা ও সহজ প্রাপ্যতার কারণে যত্রতত্র তামাকজাত পণ্যের বিপণন কেন্দ্র গড়ে উঠছে। উৎকন্ঠার বিষয় এ সকল দোকানের সংখ্যা দিনদিন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এর বিক্রয়ে লাইসেন্সিং ব্যবস্থা প্রণয়ন করে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের বাস্তবতায় এফসিটিসি বাস্তবায়নে একটি কার্যকারী পদক্ষেপ হতে পারে এই লাইসেন্সিং ব্যবস্থা। মদ বিক্রয়ের জন্য যেমন লাইসেন্স গ্রহণ করতে হয়, তেমনি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য বিশেষ লাইসেন্স দেয়া যেতে পারে।

তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে লাইসেন্সিং ব্যবস্থা গ্রহণে এইড ফাউন্ডেশন ২০১৫ সাল থেকে অদ্যাবধি কাজ করছে। দেশের বেশ কয়েকটি পৌরসভা (ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, কুষ্টিয়া ও যশোর) তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য আলাদা লাইসেন্স ইস্যু করেছে এবং বর্তমানে করছে। কিন্তু জাতীয় ভাবে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে লাইসেন্সিং ব্যবস্থার ক্ষেত্রে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক কেন্দ্রীয় ভাবে দেশের সকল সিটি করর্পোরেশন, পৌরসভায় তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য পৃথক লাইসেন্স গ্রহণের জন্য শুধুমাত্র একটি নির্দেশনা বা পরিপত্র জারি করে তবে বাংলাদেশে যত্রতত্র তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটবে একই সাথে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ বাস্তবায়নে কার্যকারী ভূমিকা রাখবে।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এইড ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সম্মিলিত উদ্যোগে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।  উপস্থিত বক্তারা তাদের বক্তব্যে তামাক নিয়ন্ত্রন আইনের গুরুত্ব সহ তামাক কোম্পানীর আইন ভঙ্গের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পাশাপাশি যত্রতত্র তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিয়ন্ত্রনে লাইসেন্স তৈরি ও নীতিমালা প্রণয়নের উপর বক্তারা গুরুত্ব আরোপ করেন। যত্রতত্র তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বন্ধে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০০ গজের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বন্ধের জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় পৌরসভা সমূহ স্থানীয় সরকার আইন (সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা)- ২০০৯ এর ক্ষমতাবলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে তামাকজাত পণ্যের বিপণনের উপর লাইসেন্স আরোপ করতে পারে বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়