শিরোনাম
◈ ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের ৪টি স্টেশনে ফাটল, খসে পড়েছে টাইলস ◈ ৩২ ঘণ্টায় চার ভূমিকম্প: ঢাকায় বড় কম্পনের শঙ্কা বাড়ছে ◈ ঢাকায় ২২ লাখ ভবনের মধ্যে ২১ লাখই ঝুঁকিপূর্ণ, বড় ভূমিকম্পে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা ◈ ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ◈ উত্তপ্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড: আধিপত্যের লড়াইয়ে বাড়ছে খুন-খারাপি ও চাঁদাবাজি ◈ ভূমিকম্পে ফাঁটল: আতঙ্কে ছাত্রাবাস ছেড়ে সড়কে রাত কাটাচ্ছেন ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী (ভিডিও) ◈ ভারত আইনগতভাবে হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য: নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুনিরুজ্জামান ◈ ভূমিকম্পে মৃত্যু: ছেলেকে হারিয়ে নিজেকেই দায়ী করছেন মা নিপা ◈ মুশফিককে কেন রেকর্ড গড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি, ব্যাখ্যা দিলেন আশরাফুল

প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ০৩:৩৬ রাত
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ০৩:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মঙ্গলে পানির সন্ধান!

আসিফুজ্জামান পৃথিল: অবশেষে নিশ্চিতভাবে পানির সন্ধান পাওয়া গেল মঙ্গলগ্রহে। ইতালিয়ান মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীদের নতুন একটি গবেষণায় মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণ মেরুতে মাটির তলায় তরল পানির একটি হ্রদ পাওয়া গেছে। বুধবার জার্নাল সায়েন্সে এই সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার মার্স এক্সপ্রেস মহাকাশযান ব্যবহার করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। মহাকাশযানটির মার্স এডভান্সড রেডার এবং সাবসনিক শব্দযন্ত্র ব্যবহার করে এই পানি থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই যন্ত্রগুলো একত্রে মার্সিস নামে পরিচিত।

২০১২ সালের মে থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মঙ্গলের প্ল্যানাম অস্টারেল এলাকায় মার্সিস ব্যবহৃত হয়েছিলো। এটি মঙ্গলের বরফাচ্ছাদিত দক্ষিণ মরু এলাকা। মার্সিস পুরো এলাকার পৃষ্ঠতলে রেডার পালস প্রেরণ করে এবং প্রতিফলিত রেডিও তরঙ্গ মার্স এক্সপ্রেসে প্রেরণ করে। এই তরঙ্গগুলো দিয়ে ২৯টি রেডার স্যাম্পল তৈরী করা হয়। যা দিয়ে পরবর্তীতে মঙ্গলপৃষ্ঠের ১ কিলোমিটার গভীরের মানচিত্র তৈরী করা হয়। এই মানচিত্রে ১২,৫ মাইল এমন এলাকার দেখা মেলে যা শুধু ভূগর্ভের হ্রদের সাথেই তূল্য। এ ধরণের হ্রদ পৃথিবীর গ্রীনল্যান্ড এবং অ্যান্টার্টিকায় পাওয়া যায়। রেডার চিত্রে এই এলাকাগুলো উজ্জল ছিলো, যা পানির নিশ্চিত প্রমাণ।

গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা এই ছবিগুলোকে মঙ্গলে থাকা তরল পানির নিশ্চিত অবস্থান বলে চিহ্নিত করেছি।’ গবেষণাপত্রটির লেখকরা এই উজ্জলতার ভিন্ন কোন কারণ থাকার যেকোন ধারণা বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন।

এর আগেও বহুবার মঙ্গলে পানির থাকার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোনবারেই নিশ্চিতভাবে তা প্রমাণ করা যায়নি। ৩১ বছর আগে প্রথমবার মার্টিয়ান বরফাচ্ছাদিত এলাকায় প্রথমবারের মতো পানি থাকার সম্ভাবনার কথা পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিলো।

যদিও মরু এলাকার গভীরে এই পানির সন্ধান মিলেছে তবুও আশা করা হচ্ছে এই পানির তাপমাত্রা গলনাঙ্কের উপরে অবস্থান করছে। এছাড়াও মঙ্গলে ইতোমধ্যে পাওয়া সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম জাত লবন সম্ভবত এই পানিকে ‘ব্রাইন’ বা লবনাক্ত পানিতে পরিণত করেছে। ব্রাইনের গলনাঙ্ক সাধারণ পানির চেয়ে কম হওয়ায় তা তরল হিসেবে থাকবে।

পৃথিবীতে অ্যান্টার্টিকা আইস শিটের নিচে মাইনাস ৭৬ ডিগ্রি ফারেনহইট তাপমাত্রাতেও তরল হ্রদ পাওয়া গেছে। পৃথিবীর ব্রাইন হ্রদগুলো ৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইটেও জমাট বাঁধেনা। মঙ্গলগ্রহে তরল পানি প্রাপ্তি নিস:ন্দেহে বিজ্ঞানের বিশাল একটি আবিষ্কার। এর ফলে মানুষের বহু বছরের প্রতিক্ষার অবসান ঘটলো। সিএনএন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়