মো. ইউসুফ আলী বাচ্চু: দেশের প্রায় ১০শতাংশ মানুষ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা আক্রান্ত। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি মানুষকে কর্মক্ষম করা সম্ভব, প্রয়োজন শুধু মানসম্মত ফিজিওথেরাপি কলেজ ও কাউন্সিল বাস্তবায়ন।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি মানুষকে কর্মক্ষম করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু মানসম্মত ফিজিওথেরাপি কলেজ ও কাউন্সিল বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
প্রতিদিন মানুষ কোন না কোন দুর্ঘটনা কবলিত হয় বা অসংক্রামক রোগ যেমন ডায়বেটিস, স্থুলতা, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, স্টোক, অথবা বয়স জনিত কারণে শারিরীকভাবে কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এ কারণে হয়ে পরে পরিবার তথা দেশের বোঝা। একমাত্র ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব স্বাভাবিক জীবনে গড়ে তোলা সম্ভব কর্মক্ষম ।
বাংলাদেশে ১৯৯৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ সরকার ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাসহ সকল সংকট উত্তরণে আধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষার লক্ষে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি নামক প্রকল্পটি হাতে নেয়। সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকায় উদ্যোগটি বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে নতুন গতি পায় কিন্তু অজানা কারণে সেটি বাধাগ্রস্ত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাখালীতে জমি বরাদ্দ দেয়া হলেও ৭ বছরে কোন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়নি।
ফিজিওথেরাপি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অতি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। চিকিৎসার মূলশর্ত হলো সঠিক রোগ নির্ণয় ও করণীয় নির্ধারণ । কাউন্সিল না থাকার কারণে মানসম্মত ফিজিও থেরাপি চিকিৎসা দেয়া সম্ভব না।
আমাদের দাবিগুলো নিয়ে এতদিন ধরে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নিয়মিত দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সফলতা অর্জন সম্ভব হয়নি। দাবি গুলো বাস্তবায়িত না হলে আগামী ২২শে জুলাই থেকে মানব বন্ধন , ঘেরাও অবস্থান ধর্মঘটের মত রাজপথে কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ডা. নুরুল আলম, ডা. নজরুল ইসলাম পিটি, ডা. দলিলুর রহমান, ডা. ফরিদ উদ্দিন, ডা. ইয়াসমিন আারা ডলি,ডা. মাকসুদুল ইসলাম, ডা. প্রদিপ কুমার, ডা. সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।