শিরোনাম
◈ মুগদায় ডিএসসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় কিশোর নিহত ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা ◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০১৮, ০৫:২১ সকাল
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০১৮, ০৫:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহানায়ক বুলবুল আহমেদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মহিব্বুল হাসান: বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী মহানায়ক বুলবুল আহমেদ। ঢাকাই সিনেমার ইন্ড্রাস্ট্রিতে মহানয়কের উপাধি নিয়ে তিনি আজও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের অন্তরে অমর হয়ে আছেন।

আজ এই মহানায়কের পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার দিন। ২০১০ সালে ১৫ জুলাই সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। তার চলে যাওয়ার আট বছর। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে দিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে তার পরিবার।

বুলবুল আহমেদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘বাবা সবসময় আসহায়, বঞ্চিত মানুষের জন্য ভাবতেন। তিনি তাদের জন্য কাঁদতেন। আমি বাবার মতো মানুষ অনেক কম দেখেছি। আজ বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মতো করে কিছু মানুষকে খাওয়াবো। তার জন্য দোয়া করে নেব। আল্লাহ যেনো আব্বুকে বেহেস্ত নসীব করেন।'

আক্ষেপের সুরে বলেন, কিংবদন্তী এই অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কর্মস্থলে নেই কোনও আয়োজন। টেলিভিশন জগতও থাকে নীরব। নেই কোনও আয়োজনের খবর।

বুলবুল আহমেদ ১৯৪১ সালে পুরান ঢাকাই জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম তাবারক আহমেদ। আদর করে তার মা-বাবা বুলবুল বলে ডাকতেন। দাম্পত্য জীবনে বুলবুল আহমেদের স্ত্রী ডেইজি আহমেদ। এই দম্পতির তিন সন্তান হলেন- মেয়ে ঐন্দ্রিলা ও তিলোত্তমা এবং ছেলে শুভ। দারুণ মেধাবী ছিলেন বুলবুল। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার কলেজিয়েট স্কুল, নটর ডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা শেষ করার পর তৎকালীন ইউবিএল ব্যাংক টিএসসি শাখার ম্যানেজার হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন তিনি।

চাকরির পাশাপাশি অভিনয় করতেন তিনি। বুলবুল আহমেদ অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ছিলো আবদুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় ‘বরফ গলা নদী’। এটি ১৯৬৪ সালে বিটিভিতে প্রচারিত হয়।

১৯৭৩ সালে আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমামের (ইউসুফ জহির) ‘ইয়ে করে বিয়ে’র মাধ্যমে প্রথম সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন। এর পরের বছর আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘অঙ্গীকার’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ঢাকাই সিনেমায় এই দুটি ছবি দিয়ে বাজিমাত করেন তিনি। এরপর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি দুই চরিত্র ‘শ্রীকান্ত’ ও ‘দেবদাস’- এ দুর্দান্ত রূপদান করে। ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ও ‘দেবদাস’-এই দুটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সকল শ্রেণীর দর্শকের মধ্যে জায়গা করে নেন তিনি।

এছাড়াও এই 'মহানায়' 'সুর্য কন্যা' 'সীমানা পেরিয়ে' ছবিগুলো বুলবুল আহমেদকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যায়। বুলবুল আহমদের শেষ চলচ্চিত্র 'দুই নয়নের আলো'

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি সফল পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিতও করেছেন নিজেকে। তার পরিচালনায় নির্মিত হয় ওয়াদা, মহানায়ক, ভালো মানুষ, রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত, আকর্ষণ, গরম হাওয়া, কত যে আপন প্রভৃতি সিনেমার সফল নির্মাতা ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়