শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০১৮, ০৫:০৮ সকাল
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০১৮, ০৫:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন দিল্লির বাসিন্দারা

সজিব খান: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বায়ুদূষণের ভয়াবহতা গত কয়েক বছরে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বায়ু দূষণের যে মাত্রাকে গ্রহণযোগ্য নিরাপদ সীমা বলে মনে করে, গত ডিসেম্বরে দিল্লির অনেক এলাকায় দূষণের মাত্রা ছিল তার তিরিশ গুণ বেশী। ফলে বায়ু দুষণের সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সেখনকার বাসিন্দারা দূষণ বিরোধী নানা ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। শহরকে বাঁচাতে দূষণবিরোধী বিক্ষোভ, র‍্যালি,প্রতিবাদ কর্মসূচীসহ নানা ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন দিল্লির বাসিন্দারা।

'দিল্লি ট্রি'জ এসওএস' নামের তেমনই একটি সংস্থার একজন সক্রিয় কর্মী জুহি সাকলানি বলছিলেন শুধু দূষণ রোধে কাজ করলেই হবে না, দিল্লিকে বাঁচাতে নগর পরিকল্পনাবিদদের নতুন ধরণের চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন,"আমরা খুবই জটিল একটি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বায়ুদূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে গাছও কাটা হচ্ছে দিল্লিতে। প্রতিবছর দিল্লির দূষণের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ও সাধারণ নাগরিকরা এই দূষণ রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে শহরের অবস্থা আরো খারাপ হবে।"

দিল্লির রাস্তায় প্রায়ই দূষণবিরোধী সমাবেশ,র‍্যালির মত কার্যক্রম প্রায়ই দেখা যায়। তেমনই একটি র‍্যালির সামনের সারির লোকজন একটি প্ল্যাকার্ড ধরে রেখেছেন যেখানে লেখা 'আমরা যদি দূষণকে শেষ না করতে পারি তাহলে তা আমাদের ধ্বংস করে দেবে'।

র‍্যালিতে উপস্থিত সব বয়সী মানুষই বলছিলেন দিল্লিতে বসবাস তাদের জন্য কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে। একজন নারী আক্ষেপ করছিলেন যে ১৯৭৩ সালে দিল্লি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে সবুজ রাজধানী। আর এখন যে অবস্থা তা চলতে থাকলে পৃথিবীর রুক্ষতম রাজধানী হবে দিল্লি।

মধ্যবয়সী একজন ভদ্রলোক বলেন স্বাভাবিকভাবে নি;শ্বাস নিতে না পারায় তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পরেছেন। দিল্লির বাতাসের এত খারাপ অবস্থা যে তাঁর ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করছে না।

ঐ বিক্ষোভ সভাতেই একজন বক্তা মহিন্দ্র গোয়েল বলেন, "আমার মনে হয় দূষণের বিষয়ে পরিবেশবাদীদের বক্তব্যগুলো দূরদৃষ্টিহীন। এই সমস্যা সমাধানে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে যৌক্তিক ও সময়োপযোগী আন্দোলন চালানো প্রয়োজন তাদের"।

এদিকে দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা দিনদিন বাড়তে থাকায় সেখানে কাজ করতে আসা বিদেশী নাগরিকের সংখ্যা দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে। দিল্লিতে বেড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও দূষণের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা বাতিল করেছেন অনেক বিদেশী পর্যটকও।

তবে সম্প্রতি দিল্রি কর্তৃপক্ষকে আর কোনো গাছ না কাটার নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। তাই দিল্লিবাসীরা মনে করছেন, দেরীতে হলেও বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন তারা। সূত্র: বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়