শিরোনাম
◈ ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের তীব্র প্রতিবাদ, সরকারকে পুরো দায় নিতে বললেন মির্জা ফখরুল ◈ চালক-যাত্রীদের অনুরোধেও সড়ক ছাড়েননি ছাত্র-জনতা ◈ আজ সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবে ওসমান হাদির মরদেহ, শনিবার জানাজা ◈ তারেক রহমানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে যে দুই ইস্যু ◈ যেভাবে বিপ্লবী হয়ে উঠেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ শাহবাগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যোগ দিলেন নাহিদ-আসিফ (ভিডিও) ◈ হাদির মৃত্যু: চট্টগ্রামে নওফেলের বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর ◈ কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ দেশে ফিরলে তারেক রহমানকে এসএসএফের নিরাপত্তা দেবে সরকার

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০১৮, ০২:৪১ রাত
আপডেট : ২৮ জুন, ২০১৮, ০২:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাদিস ও সুন্নাহ অনুসরণের অপরিহার্যতা

নকীবুল হক: আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব হিসাবে পৃথবীতে প্রেরণ করেছেন। আবার পথহারা মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিতে যুগে যুগে প্রেরণ করেছেন অসংখ্য নবী-রাসূল। দেড় হাজার বৎসর পূর্বে যখন পৃথিবী ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল ঠিক তখনই তিনি প্রেরণ করেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে। আবার তাঁর উপর অবতীর্ণ করেছেন মহাগ্রন্থ আল কুরআন। আল্লাহ তায়ালা কুরআনের মাহাত্ম্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও উদ্দেশ্যাবলীকে শরীয়তের প্রধান উৎস বানিয়েছেন। আর মানবজীবনেরর সর্বস্তরে কুরআনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন, এর নীতি ও বিধানের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের জন্য রয়েছে হাদিস ও সুন্নাহ।

ইসলামি শরীয়তের পরিভাষায়, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নবুয়তী জীবনের কথা, কাজ ও মৌন সমর্থনকে হাদিস বলে। কিন্তু হাদিস ও সুন্নাহ’র মাঝে রয়েছে অনেক পার্থক্য। হাদিস বিশারদগণের অভিমত অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সা. এর নবুয়তী জীবন দুই প্রকার। যথা- ১. জায়যুল ইত্তিবা বা যার অনুসরণ বৈধ; ২. হারামুল ইত্তিবা বা যার অনুসরণ অবৈধ। জায়িযুল ইত্তিবা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, মুস্তাহাব এই চার পর্যায়ের যেকোনো এক পর্যায়ের হবে। এজন্য কোনো বিষয় ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত কিংবা মুস্তাহাব হওয়ার আগে প্রথমে জায়িযুল ইত্তিবা হতে হবে। কেননা, কোনো কাজ অবৈধ হয়ে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত কিংবা মুস্তাহাব হতে পারে না। অন্যদিকে হারামুল ইত্তিবা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কতিপয় খুসূসিয়াত বুঝায়। যেমন- ইফতার না করে সারাদিন রোজা রাখা, একসাথে নয়জন স্ত্রী রাখা এবং যে সকল কাজ রাসূলুল্লাহ সা. অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। এ জাতীয় বৈশিষ্ট অনুসরণ করা উম্মতের জন্য হারাম।

হাদিস শব্দ দ্বারা জায়িযুল ইত্তিবা এবং হারামুল ইত্তিবা উভয় প্রকার বিষয়কেই বুঝায়। কেননা, হাদিসের সঙ্গায় বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সা. এর নবুয়তী জীবনের কথা, কাজ ও মৌন সমর্থনকে হাদিস বলে। এখানে অনুসরণ যোগ্য এবং অনুসরণ অবৈধ উভয় প্রকার কাজকেই বুঝানো হয়েছে। কিন্তু সুন্নাহ শব্দ দ্বারা শুধু অনুসরণ যোগ্য কার্যাবলীকে বুঝায়। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সা.) এর খুসূসিয়াতসহ সকল কাজসমূহ হলো হাদিস এবং অনুসরণ যোগ্য কাজগুলো হলো সুন্নাহ। এজন্যই রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'আমি তোমাদের কাছে দু'টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যদি তোমরা এগুলো আঁকড়ে ধর তাহলে কখনো পথভ্রষ্ট হবেনা। জিনিস দু'টি হলো কুরআন ও সুন্নাহ'। সুতরাং সব হাদিস সুন্নাহ নয়, কিন্তু সব সুন্নাহ হাদিস। লেখক : শিক্ষর্থী, হয়বতনগর এ. ইউ. কামিল মাদরাসা, কিশোরগঞ্জ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়