মতিনুজ্জামান মিটু : দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপকুলীয় এলাকায় লবনাক্ততা বিভিন্ন মাত্রায় বেড়েছে এমন ধারণাই কৃষিবিদসহ সংশ্লিষ্টদের। তবে এ বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য নেই, বিগত ২০০৯ সালের পুরানো ডাটাতেই চলছে লবণাক্ততা মোকাবেলার কার্যক্রম।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনিস্টিটিউটের ২০০৯ সালের জরিপ মোতাবেক দেশের উপকুলীয় এলাকার ১.০৫৬ মিলিয়ন হেক্টর জমি লবনাক্ততায় আক্রান্ত ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে কত টুকু হয়েছে তার কোনো হাল নাগাদ তথ্য নেই। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মাটি ও পানির লবণাক্ততা নিয়ে তিনটি জরিপ এবং ডাটা তৈরী হয়। তুলনামূলক পর্যালোচনা ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লবণাক্ততা বাড়ে শতকরা ২৬.৭ ভাগ। ১৯৭৩ সালে লবণাক্ততায় আক্রান্ত জমির পরিমাণ ছিল পরিমাণ ছিল ০.৮৩৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এসআরডিআই এর ‘মৃত্তিকা গবেষণা এবং গবেষণা সুবিধা জোরদারকরণ (এসআরএসআরএফ)’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবদুল বারী বলেন, সমুদ্র উপকুলের ১৯ জেলার ৯৩টি উপজেলার প্রায় ১.০৫৬ মিলিয়ন হেক্টর জমি লবণাক্ততায় আক্রান্ত।
লবণাক্ততা সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ডাটা তৈরীর জন্য মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় জরিপ ও গবেষণা করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা কেন্দ্র উপকুলীয় অঞ্চলে ফসল উৎপাদনের লক্ষে ভূমি ও মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রযক্তি উদ্ভাবন হবে। এছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলাভিত্তিক ভূপৃষ্ঠের পানির উৎস চিহ্নিতকরণ ও লবণাক্ততা পরিবীক্ষিণ, লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাত ও প্রযুক্তি প্রবর্তনের জন্য প্রায়োগিক গবেষণা করা হবে। এদিকে এ অঞ্চলের লবণাক্ততা এবং বিষক্ততা ইত্যাদির প্রতিকার বিষয়ে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটায় লবণাক্ততা ব্যবস্থাপানা ও গবেষণা কেন্দ্রের একটি গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৃত্তিকা বিজ্ঞানীরা বলেন, সমুদ্রের পানি ক্রমান্বয়ে উপরে উঠে আসা উকুলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
আপনার মতামত লিখুন :