শিরোনাম
◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০১৮, ০৩:৩৩ রাত
আপডেট : ২৭ জুন, ২০১৮, ০৩:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শস্য নিবিড়তা বাড়াতে উপকুলীয় সব পোল্ডার ব্লু গোল্ড প্রকল্পে নিতে হবে

মতিনুজ্জামান মিটু : শস্য নিবিড়তা বাড়াতে উপকুলীয় সব পোল্ডার ব্লু গোল্ড প্রকল্পের আওতায় নেয়ার তাগিদ দিয়েছে কৃষিবিদ ও কৃষি কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (২৬ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটের আ ক মু গিয়াসউদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে এক অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালায় তারা এ তাগিদ দেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কৃষিবিদ অমিতাভ দাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পণা উইং এর যুগ্ম প্রধান মো. আনোয়ার হোসেন।

সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিকল্পণা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ নূরুল আলম। কারিগরি পর্বে সভাপতিত্ব করেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়াইজ কবির ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান। প্রকল্পের কার্যক্রমের ওপর আলোচনা করেন গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, পংকজ কান্তি মজুমদার প্রমুখ।

কর্মশালায় কৃষিবিদ ও কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, সমন্বিত এবং টেকসই কৃষি উৎপাদনের মাধ্যমে উপকুলীয় খুলনা, সাতক্ষিরা, পটুয়াখালি ও বরগুণা জেলার মোট ১১টি উপজেলার ২২টি পোল্ডারে বসবাসকারি ক্ষুদ্র চাষিদের জীবনমানের উন্নয়নে ২০১৩ সালে ট্রান্সফার অব টেকনোলজি ফর এগ্রিকালচারার প্রোডাকশন আন্ডার ব্লু গোল্ড প্রোগ্রাম (ডিএই কম্পনেন্ট) এর পথ চলা শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকার ও রাজকীয় নেদারল্যান্ডস সরকারের অনুদানে নেয়া এই প্রোগামের মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। উন্নয়ন সহযোগির অতিরিক্ত অর্থায়নে অধিক কাজের সংস্থান রেখে ১৩৬৪ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে গত জুন ২০১৭ সালে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়।

বর্তমানে প্রধান বাস্তবায়নকারি সংস্থা বিডব্লিউডিবি বাস্তবায়নাধিন কম্পনেন্টটির মেয়াদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এর দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাব প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানো এবং সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার অপরিহার্যতা বিবেচেনা করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ অংশিদারিত্বে প্রকল্পটি পানি ব্যবস্থাপনা দলের ২৫ হাজার ধান, সবজি ও বিভিন্ন মাঠ ফসলের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এতে শস্য নিবিড়তা বাড়ে। এই সাফল্যে উপকুলীয় সবগুলো অর্থাৎ ১৩৯ পোল্ডারকে ওই প্রকল্পে নেয়ার তাগিদ দেয়ার তাগিদ দেয়া হয়। ওই পোল্ডারগুলো উপকুলীয় ১৪টি জেলার ৬০টি উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত। প্রকল্পের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সম্প্রসারণ করা গেলে সার্বিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়