বিপ্লব কুমার পোদ্দার : ভারতের বর্ষিত অাশীর্বাদে বাংলাদেশের মৌলভীবাজার অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ঈদের জামাত পড়তে পারেননি অামার দেশের ধর্মপ্রান মুসলিম সম্প্রদায়। তাই একথাটা বোধহয় ঠিক নয়, ভারত জল দেয় না। সুন্দর করে বলতে গেলে বলতে হবে ভারত বন্যা দেয়। অার খরার সময় পানির ন্যায্য হিস্যাটুকুন তারা অাটকে রাখে। এ হলো ভারতের সাথে বাংলাদেশের পানি বিষয়ক এক অলিখিত রেওয়াজ। অামরা পারিনি অাজো অামাদের ন্যায্য হিস্যাটুুকুন অাদায় করতে। অার এর কারণ হলো, তোরা যে যা বলিস ভাই অামার সোনার হরিন চাই নামক ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতায় যাওয়ার এক নির্লজ্জ প্রতিযোগীতা। অাসলে এ কোনো নতুন ধারা নয়। ধারা শুধু একটাই বাঙালী নির্যাতনই যেন তাদের মূলমন্ত্র। কোনো কারণে বাঙালী
যদি এক হয়ে যায়, এ অাধিপত্যবাদীরা কোনোভাবে টিকতে পারবে না। তা তারা ভাল করে জানেন। এত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও পাঠকদের সবিনয়ে জানাতে চাই, অাসামের বাঙালীদের নিয়ে বিগত লেখাটির পরপরই ইউএন থেকে ভারত সরকার এবং অাসামের প্রাদেশিক সরকারের নিকট তারা চিঠি পাঠিয়েছেন। এমনকি, অাল-জাজিরা সহ বিভিন্ন মিডিয়া এখন অাসামের বাঙালী নির্যাতন নিয়ে বেশ তৎপর। অামার অনুরোধ, অাসামের বাঙালীদের এ ধরনের মানসিক নির্যাতনের হাত থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অামরা অামাদের প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের চেষ্টা বিদ্যমান রাখবো। অার অামি সবিনয়ে, ইউএন এবং অামাদের সময় ডটকমকে অান্তরিক সাধুবাদ জানাচ্ছি অামাদের কথাগুলো শোনা এবং প্রকাশিত করার জন্য। অামাদের পাঠকরা জেনে খুশি হবেন, অাসামের বাঙালী নির্যাতনের প্রতিবাদের ঢেউ কলকাতা প্রেসক্লাবের ২৩শে জুনের সেমিনারে অাছড়ে পড়েছে। ঐ সেমিনারে প্রসেনজিৎ বাবু ও দেবাশীষ বাবু বাংলাদেশের বাঙ্গালীকে অান্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাদের এ প্রতিবাদে শামিল হবার জন্য।
তাই অাজ বন্যা খরা অভাব অনটন শোষণ অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বব্যাপী বাঙালীদের এক হতে হবে। যেখানে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান অথবা যে কোনো ভেদাভেদের অপচেষ্টা রুখে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধে শামিল হতে হবে। হোক সে অাসাম অথবা বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে থাকা নির্যাতিত বাঙালী, নির্যাতিত মানুষ।
দুই
অনেকদিন ধরে লক্ষ করলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস যেন উত্তাল সাগরের গহীনে হারিয়ে যাওয়া ইস্যু। খুব দুঃখ হয়, খুব কষ্ট হয় অজানা এক ব্যাথায় অামি জর্জরিত। কারণ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই কারবাস যেন একটি কালো অধ্যায় তৈরী না করে । অাসুন দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। শুধুমাত্র অবাধ নির্বাচন নয়। সে সঙ্গে দলীয় গণতন্ত্রও যেন সমুন্নত থাকে।
লেখক: লন্ডনে বসবাসরত অাইনজীবি ও সমাজকর্মী