রফিক আহমেদ : জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল বলেছেন, ২০১৮-১৯ সালের জাতীয় বাজেটকে জনবান্ধবে রূপান্তরিত করতে হলে শিক্ষা ঋণ প্রকল্প, ভূমি সংস্কার ও নদী সংস্কারের অন্তর্ভূক্ত থাকতে হবে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত পরিবেশের দেশ বানাতে হলে ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে বিভিন্ন দাবি অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি খাজা মহিবউল্লাহ শান্তিপুরী, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান ডা. এম.এ সামাদ, আলমগীর শেখ, সাহিকুল আলম টিটু, লিয়াকত হোসেন ও পেয়ারা বেগম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে এম.এ জলিল বলেন, পাকিস্তানের শোষণ-শাসন থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। এই বাংলাদেশের আদর্শ হলো অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত পরিবেশ। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাই সেই আদর্শের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় বাজেটে যেসব খাতে বরাদ্দ দরকার সেইসব খাতে বরাদ্দ নেই। বাজেটে আছে ধনী আরও ধনী, গরীব হবে আরও গরীব বরাদ্দ। তাই আজকে আমাদের এই মানববন্ধন থেকে দাবিগুলো ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করলে দেশ হবে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, শোষণÑশাসন, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত পরিবেশের বাংলাদেশ।
তিনি বলেন- বাজেটে ভূমি সংস্কার, ভূমির আধুনিক ব্যবস্থাপনায় নেওয়া ও ব্যবহার নিশ্চিত, নদী ভাঙ্গন রোধ ও নদী সংস্কার এবং পানি শাসনের ব্যবস্থা, রাজশাহী উন্নয়ন ব্যাংকের ন্যায় প্রতিটি বিভাগে সরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা, প্রতিটি বিভাগে আইনের মাধ্যমে হাইকোর্ট স্থাপন করা, একটি বাড়ী একটি খামার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষা ঋণ প্রকল্প চালু করা এবং বাংলাদেশে সকল এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে কলেজে রূপান্তরিত করা (ইন্টারমিডিয়েট)। তিনি এই দাবিগুলো চলমান জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :