শিরোনাম
◈ জানুয়ারিতে চালু হবে ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট  ◈ হাদির খুনিদের দুই সাহায্যকারীকে আটকের দাবি নাকচ করল মেঘালয় পুলিশ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে,আগামী ১০ দিনের মধ্যে চার্জশিট : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে ৮ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির চিঠি ◈ তাহেরির মাহফিল বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন, জানা গেল কারণ ◈ সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ এনসিপি ও এলডিপি আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে: জামায়াত আমির (ভিডিও) ◈ তারেকের প্রত্যাবর্তন বহুত্ববাদ ও কর্তৃত্ববাদী চক্রের জন্যে পরীক্ষা   ◈ বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দলীয় জোট

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০১৮, ০৫:০১ সকাল
আপডেট : ২৮ মে, ২০১৮, ০৫:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জুন মাসে পাওয়া যাবে দোকানে দোকানে

আনিসুল হক : হাত মোছার জন্য আমরা ব্যবহার করতাম নিউজপ্রিন্টের কাগজ। পিন্টু পরাটা খেয়ে নিউজপ্রিন্ট প্যাড থেকে দুটো কাগজ ছিঁড়ে নিয়ে হাত মুছছিলেন। তখনই একজন বছর ৪০/৪২-এর মহিলা আর তার ২০ বছরের ছেলে এসেছিলেন ভোরের কাগজ অফিসে। ১৯৯৭ সালের কথা। মহিলা পিন্টুকে বললেন, আপনি পেপারে বিমানবাহিনী নিয়া লিখছেন। আমি আমার স্বামীকে খুঁজতেছি ২০ বছর। আপনি কি তার খোঁজ দিতে পারবেন। জায়েদুল আহসান। আমরা ডাকি পিন্টু। ভোরের কাগজের দুর্দান্ত সাংবাদিক। তিনি বললেন, আপনার স্বামীর নাম বলেন...

পিন্টু ফাইল দেখতে লাগলেন। মোটা তালিকা। ১৯৭৭ সালের অক্টোবরে বিমানবাহিনীর অভ্যুত্থান চেষ্টার পর ফাঁসি দেয়া হয়েছিল যাদের। নাম বলেন। তার পিতার নাম বলেন...আপনার স্বামীকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল ... জি ২০ বছর বছর আগে... অমুক জেলে অমুক তারিখে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আমরা যারা তখন ভোরের কাগজে পিন্টুর ডেস্কের আশেপাশে ছিলাম, তারা শ্বাস বন্ধ করে ওই মহিলা আর তার ছেলেকে দেখছি। ছেলে বলল, মা চলো। আব্বার মৃত্যুর তারিখটা তো জানলাম।

এবার তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে পারব। মহিলা স্তব্ধ হয়ে বসে আছেন। ফ্যান ঘুরছে মাথার ওপরে। নিউজপ্রিন্টের প্যাড থেকে একটা একটা পৃৃষ্ঠা ফ্যানের বাতাসে শব্দ করে উড়ছে। আমরা সে শব্দ শুনতে পাচ্ছি। মহিলা জোরে শ্বাস ছাড়লেন। আমরা তাও শুনতে পেলাম। একজন বাঙালি নারীর স্বামীকে খুঁজে ফেরার কাহিনির সূত্র এই। এরপরেই লেখা হলো-- আয়েশামঙ্গল। বেরুল চলতিপত্রে। পরে বই হলো। পরে হলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকির টেলিফিল্ম।

সেই বইটা বেরুচ্ছে ইংরেজিতে। অনুবাদ করেছেন ইনাম আহমেদ। আমার সবচেয়ে প্রিয় ইংরেজি-লেখকদের একজন।

অনুবাদ ভাল হয়েছে, এটা আমি আপনাদের বলতে পারব।

বইটি প্রকাশ করেছে হারপার কলিন্সের সমসাময়িক ক্লাসিকসের অনুবাদ শাখা হারপার পেরেনিয়াল।

সারা পৃথিবীতে পাওয়া যাচ্ছে অ্যামাজনে।

বাংলাদেশে অর্ডার নেওয়া হচ্ছে রকমারিতে।

জুন মাসে পাওয়া যাবে দোকানে দোকানে।

পরিচিতি: সিনিয়র সাংবাদিক ও সাহিত্যিক/ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়