আমিন মুনশি: সমাজে প্রচলিত একটি কথা রয়েছে ‘জান বাঁচানো ফরজ’। কুরআন হাদীসের আলোকে কথাটি কতটুকু যৌক্তিক এমন প্রশ্ন সৃষ্টির পর বাংলাদেশের দুই শীর্ষ আলেমের মতামত জানতে যোগাযোগ করা হয় দৈনিক আমাদের নতুন সময় এর পক্ষ থেকে। এ প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দিন মাসঊদ বলেন, ‘কুরআনে ‘জান বাঁচানো ফরজ’ কথাটি সরাসরি আসেনি। এটি ইসলামি ফেকাহবিদদের একটি ফতোয়া। সূরা বাকারার ১৯৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করো না’। এই আয়াত থেকে ইসলামিক ফেকাহ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, আত্মরক্ষা বা জান বাঁচানো ফরজ।
তবে এ বিষয়ে ইসলামি ফেকাহবিদ ‘শায়খ যাকারিয়্যা ইসলামিয়া রিসার্চ সেন্টারে’র প্রিন্সিপাল মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ বলেন, ‘আল কুরআনে সরাসরি না এলেও কুরআনে এ সংক্রান্ত আয়াতের ব্যাখ্যা থেকে ভারতীয় ইসলামিক স্কলার আল্লামা শাহ ওয়ালি উল্লাহ রহ. বলেছেন, জীবন, মস্তিষ্ক, ধর্ম, ইজ্জত, সম্পদ এই পাঁচ জিনিস রক্ষার্থে মানুষ যে কোনো পন্থা অবলম্বন করতে পারে। হারাম কাজ অবলম্বন করে হলেও। এর জন্য পরে তওবা-ইস্তেগফার, কাফফারা আদায় করে নেবে।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজে ‘জান বাঁচানো ফরজ’ বলে যেভাবে অন্যের কল্যাণকামিতা থেকে বিরত থাকা হয়, ইসলামি শরিয়ত এটাকে সমর্থন করে না। কাউকে বিপন্ন বা বিপদগ্রস্থ দেখলে অবশ্যই তার সেবায় ছুটে যেতে হবে। এটা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব তো বটেই; ঈমানি দায়িত্বও।
আপনার মতামত লিখুন :