শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০১৮, ০৫:৫৩ সকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০১৮, ০৫:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা তৈরি হয় কীভাবে?

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : বাস, মিনিবাস, ট্রাক চালকদের অনেক সময়ই বেপরোয়া মনোভাব ও অসহিষ্ণু আচরণ লক্ষ্য করা যায়। তাদের মেজাজ ও ব্যবহার অনেক সময় খুবই নিন্মমানের হয়ে থাকে। যাত্রীদের সঙ্গে যাঁ-তা ব্যবহার করে। আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা করতেও দেখা যায়। তাদের এ আচরণ ও বেপরোয়া মানসিকতার কারণে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ যায় সাধারণ মানুষের। তারা নিজেরাও মারা যায়। আহত হয়। এরকম সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলে তারা। কেন চালকেরা এ ধরনের মানসিকতা ধারণ করে। কেন তারা বেপরোয়া মনোভাব পোষণ করে? চালকদের বেপরোয়া মানসিকতার দুটি কারণ রয়েছে। এক. চালক-হেলপারদের বেশিভাগই অশিক্ষিত, তাদের দায়িত্বজ্ঞান খুবই সীমিত। বোধবুদ্ধি শক্তিও অনেক কম থাকে? যার ফলে তারা রাস্তায় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। আগে যাওয়ার মতো প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালায়।

তাহলে প্রতিকার কী, চালক-হেলপারদের মানসিকতার পরিবর্তন সম্ভব কী? হলে কীভাবে সম্ভব তা? সবার আগে প্রয়োজন শিক্ষা। তাদেরকে অবশ্যই শিক্ষিত করতে হবে। শিক্ষাটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে। ভাবতে শেখায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা তৈরি হয়। শিক্ষা থাকলে মানবিক গুণও বিকশিত হয়। তখন আর বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালাবে না। শিক্ষার পাশাপাশি হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ কোর্স ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। কোর্স এবং প্রশিক্ষণ না থাকলে নিয়ম-কানুনের মধ্যে থাকবে। আইন এবং অন্যান্য বিষয়ে সচেতন থাকবে। ধীরে ধীরে হলে ইতিবাচক ও মানবিক মানসিকতা তাদের ভেতরে তৈরি হবে। কাঠামোগত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে গাফলতি থাকলে দায়িত্ববোধের জায়গাটা বিকশিত হয় না। শৃঙ্খলবোধও শেখে না।

চালক-হেলপারদের মধ্যে কেউ যদি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে তাহলে তাদের মনোবিদের শরণাপ্ন হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। যারা মাদক গ্রহণ করে তাদের এ পথ পরিহার করতে হবে। কোনোভাবেই মাদক গ্রহণ করে গাড়ী চালানো যাবে না। মাদক গ্রহণকারীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে সে পথ ফিরিয়ে আনতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়