রবিন আকরাম : রমজানে সংযমের যে ধারণা, তার সাথে সংযমের প্রকৃত চেতনার মিল খুব সামান্যই। আমি অনেককে চিনি, যারা রোজা রেখে সারাদিন সময় কাটান হিন্দি সিনেমা দেখে। চিত্তের সংযম তিনি কতটা রাখতে পারছেন? রোজা রেখে ঘুষ খান, মিথ্যা কথা বলেন, মানুষের ক্ষতি করেন, দুর্নীতি করেন, এমন মানুষ তো ভূরি ভূরি। বরং রমজান এলে ঘুষের রেট বেড়ে যায়। পুলিশের ঈদ বাণিজ্য চলে দেদারসে। ইফতার পার্টির নামে মাসজুড়ে চলে দারুণ রাজনীতি। এসব আয়োজনে রাজনীতিবিদরা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সত্য-মিথ্যা নানা অভিযোগ তোলেন।
অন্য দেশের কথা জানি না, বাংলাদেশে রমজানে সবচেয়ে অসংযমী আচরণ হয়। রমজান এলেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের। অন্য সব রিপু সংযমের কথা না হয় বাদই দিলাম, খালি খাওয়ার সংযমের কথাই যদি বলি, তাহলেও এরচেয়ে অসংযমের মাস আর নেই। অন্য সাধারণ মাসের তুলনায় রমজানে খাওয়ার পেছনে আমাদের দেশের মানুষের খরচ অনেক বেশি হয়।
রমজানে আমরা এমন অনেক খাবার খাই, যা সারা বছর খাই না। আরবের খোরমা-খেজুর ছাড়া আমাদের ইফতার হয় না। ছোলা, বেগুনি, জিলাপি, হালিম- এমন অনেক আইটেম আছে, যা সারা বছরে যা বিক্রি হয়, রমজানে হয় তার কয়েকগুণ বেশি। বছরে একটা নির্দিষ্ট সময় উপোস থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু উপোস ভেঙ্গে আমরা ইফতারে যে খাবার খাই, তা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। সারাদিন না খেয়ে যতটুকু উপকার হয়, ইফতারে ভাজা-পোড়া, তৈলাক্ত খাবার খেয়ে ক্ষতি হয় তারচেয়ে অনেক বেশি।
..প্রভাষ আমিনের ফেসবুক থেকে নেয়া..
আপনার মতামত লিখুন :