শাকিল আহমেদ : টানা কয়েক দিনের কাল বৈশাখী ঝড়ে বির্পযস্থ সারা দেশ। কোথাও দমকা ও ঝড় হাওয়া, আবার কোথাও কাল বৈশাখী ঝড়। গত দুদিনে বজ্রপাতে সারাদেশে ২৫ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। তবে আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ঝড়ের এ প্রভাব কমে আসবে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ও বরিশালে। নৌ ও সমুদ্রবন্দর গুলোতে ছিলো সর্তকতা সংকেত। শিলা বৃষ্টিসহ বজ্রপাতে সারা দেশে মারা গেছে ২৫ জন এর মধ্যে সর্বোচ্চ কিশোরগঞ্জে ৯ জন নিহত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান বলেন, মার্চ ও এপ্রিল মাস হল বৃষ্টির প্রাক মৌসুম এটাকে বর্ষার মৌসুম বলা যাবে না। কারণ জুন জুলাই হচ্ছে বর্ষার মৌসুম। এসময় বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে তা প্রতি বছরই বৈশাখ মাসে হয়ে থাকে। এটি স্বাভাবিক বৃষ্টি বলা যেতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশেরে প্রেক্ষাপটে এপ্রিলে সব সময় কাল বৈশাখী ঝড় হয়। তবে আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে এ বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে বলে আশা করি। কোন কোন জেলায় হয়ত বৃষ্টিপাত হবে তবে এরকম টানা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে যানা যায়, সোমবার সকাল ৬ টা থেকে বিকাল ৩ পর্যন্ত ঢাকায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, এছাড়া টাঙ্গাইলে ৫২ রাজশাহী ৬২, তাড়াশ ৫৭, বগুড়া ৩৫, সতক্ষীরা ২৭, চুয়াডাঙ্গা ২৫, ময়মনসিংহ ৩০, এবং গোপালগঞ্জে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পরিসংখানে দেখা যায়, ২০১৩ সালের এপ্রিলে তুলনা মুলক ৫১ ভাগ বৃষ্টি কম হয়েছে, ২০১৪ সালে ১৩০ ও ২০১৫ সালে ৩৩ ভাগ বৃষ্টি বেশি হয়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালে ৫২ ভাগ কম বৃষ্টি হয়েছে, এবং ২০১৭ সালে ১০৬ ভাগ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সে তুলনায় ২০১৮ সালের এপ্রিলে তুলনা মুলক বেশি বৃষ্টিপাত হয়নি বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয় অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, যদি ঘন্টায় বাতাসের গতি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার হয় তা হলে তাকে দমকা হাওয়া বলা হয়। ৪১ থেকে ৬০ কিলোমিটার হলে তাকে ঝড়ো হাওয়া বলা হয়, ৬১ থেকে ৯০ হলে তাকে মৃদু কাল বৈশাখী ও বাতাসের গতি ৯১ থেকে ১২০ হলে তাকে মাঝারি কাল বৈশাখী বলা হয়। এবং ১২১ খেকে ১৪৯ পর্যন্ত হলে তাকে তীব্র কাল বৈশাখী বলা যায়। সোমবার সারাদেশে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিলো ঢাকায় ৫৪, রাজশাহীতে ৫৬ ফরিদপুরে ৪৬ এবং খুলনা ৪৮ কিলোমিটার।