তরিকুল ইসলাম : লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইস্যুতে ঢাকার কাছে এখনো কোনো ব্যাখ্যা চায়নি ব্রিটিশ সরকার। এমনকি দেশটির হোম অফিস এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখায়নি বলে জানিয়েছে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও লন্ডনের একাধিক কূটনৈতিক সূত্র। কথিত ভুলে ভরা চিঠির বিষয়ে ব্রিটেন সরকার ঢাকার কাছে জানতে চেয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর চাউর হওয়ার পর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন তারা।
কূটনৈতিক সূত্র গুলো বলছে, কূটনৈতিক যোগাযোগ সংক্রান্ত গোপন নথি নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে যে বিতর্ক চলছে তাতে দেশটি মোটেই উদ্বিগ্ন নয়। তবে ব্রিটেন সরকার এ পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে সেটাই স্বাভাবিক। যদিও এ নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেনি। চিঠির বিষয়টি যুক্তরাজ্যর হোম অফিস পরিস্কার করতে পারলেও তারা সেটি হয়ত করবে না। কারণ, ওই ব্যাখ্যা দেওয়ার অর্থ হবে তা স্বীকার বা অস্বীকার করা। দুটির কোনোটিই হয়তো বৃটিশ সরকার করবে না।
ব্রিটেনে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন একজন কূটনীতিক বলছেন, ব্যাক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের বিষয়ে যে সকল দেশ প্রথম দিকে রয়েছে তার মধ্যে ব্রিটেন অন্যতম। এ ইস্যুতে ব্রিটেনের নিরবতা থেকেই ধরে নেওয়া যায় তারা আসলে কারোর তথ্য প্রকাশে আগ্রহী নয়। যদি তাই হতো অন্তত চিঠির বিষয়ে তাদের অবস্থানটা পরিস্কার হতো। কারণ তথ্য প্রকাশ না করার বৃটেনের সর্বজনীন নীতি রয়েছে। বৃটেন তথা পশ্চিমা দেশগুলো ব্যক্তির তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়ে বেশ সচেতন। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তাবিষয়ক বৃটিশ আইন এখনো ব্যক্তি তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যে আইনি অবস্থান প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে আছে।
আপনার মতামত লিখুন :