নূর মাজিদ: জার্মানির কীর্তিমান ও হিসেবী নারী রাষ্ট্রপ্রধান ও চার-চারবারের চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মের্কেল শুক্রবার তার নির্ধারিত সফরে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমন করবেন। তবে, বরাবরই জার্মানির স্বার্থে আপোষহীন এই নেত্রী ফরাসী রাষ্ট্রপতির মতো ট্রাম্প মনোরঞ্জনে মনোযোগ নাও দিতে পারেন। তার মূল লক্ষ্য থাকবে প্রথমে জার্মানি ও পরে জার্মান নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
দুই নেতার মধ্যে আলোচনায় ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ও আন্তঃআটলান্টিক বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ানোর মত বিষয়গুলিই মূলত প্রাধান্য পাবে। ফরাসী পত্রিকা দ্যা লোকাল জানায়, ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র যেন নিজেকে প্রত্যাহার না করে সেব্যাপারে এই সফরে শেষ চেষ্টা করেন মের্কেল।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অর্থনৈতিক সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ জানাচ্ছে, এপ্রিল মাস নাগাদ জার্মানিতে বেকারত্বের হার আশাব্যঞ্জক হারে কমে গেছে এবং একই সঙ্গে বেড়েছে চাকরির সুযোগ। ট্রাম্পের লক্ষ্য দীর্ঘ দেড় দশক অর্থনৈতিক মন্দা এবং বেকারত্বের উচ্চহারে রুগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। ট্রাম্পের আমেরিকা প্রথম নীতির এটিই আনুষ্ঠানিক মোর্চা।
এই লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র মার্চ মাসে চীন,জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমদানিকৃত ষ্টীলের ওপর বাড়তি ভর্তুকি আরোপ করে। এতে দারুন রুষ্ট হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশেষত জার্মানি। জার্মান বাণিজ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, জার্মানিতে প্রতি দুটি চাকরির যখন রপ্তানির হারের উপর নির্ভরশীল তখন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা জার্মানির কাম্য নয়।
বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ানো আর ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান করা ট্রাম্প- মের্কেল জুটিকে তবু নিজেদের স্বার্থেই একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সকল গণমাধ্যম এবং ব্যবসায়িক নেতাদের ধারণা ইমানুয়েল ম্যাক্রোর মত উষ্ণ এবং বর্ণাঢ্য নয় বরং মের্কেলের সফর হবে তার মতই হিসেবী এবং ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের মতই শীতল। দ্যা লোকাল/ কোয়ার্টজ/ ব্লুমবার্গ
আপনার মতামত লিখুন :