শুভ : কখনো কখনো কারো আচরণ, কথা বা কাজে কষ্ট পেলে বা বিরক্ত হলে আমরা ক্ষমা না করে দিয়ে বরং তাকেও কষ্ট দিয়ে প্রতিশোধ নেই। ক্ষমা করাটা কেমন যেন প্রায় অসম্ভবই মনে হতে থাকে। অথচ ইসলামে ক্ষমা মহৎ গুণ। তাই নিচে পাঁচটি বিষয় বিবৃত করা হল- যদি আমরা সেগুলো খেয়াল রাখি তাহলে আশা করি মানুষকে ক্ষমা করা আমাদের জন্য সহজ হবে।
এক. আমাদের দ্বারা প্রতিদিন কত অন্যায় সংঘটিত হয়ে যায়। আল্লাহর কত আদেশ আমাদের দ্বারা অমান্য হয়ে যায় প্রায়ই। সে সব থেকে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা পেতে হলে অন্যতম উসিলা হবে মানুষকে ক্ষমা করার অভ্যাস। আপনি যদি মানুষকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করতে পারেন আল্লাহও আপনাকে আপনার ভুলের জন্য ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ।
দুই. ক্ষমা আপনাকে আপনার অন্তরের অশান্তি থেকে রক্ষা করবে এবং পবিত্র প্রশান্তি হৃদয়ে বইয়ে দেবে। আপনি যদি ক্ষমা করতে পারেন, তবে ইনশাআল্লাহ রাব্বে কারিম আপনার মনের যাবতীয় অশান্তি দূর করে দেবেন।
তিন. ক্ষমা মুত্তাকী ও পরহেযগার ব্যক্তির লক্ষণ। সর্বোত্তম ক্ষমাকারী ছিলেন প্রিয়তম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, সে মানুষকে তার ছোট ছোট অপরাধের জন্য ক্ষমা করতে পারার মতো যোগ্যতার অধিকারী হয়।
চার. আপনি যদি অন্যদের কাছ থেকে ক্ষমা পেতে চান, তাহলে আপনিও অন্যদের ক্ষমা করুন এবং এ প্রসংশিত উন্নত গুণকে নিজের বৈশিষ্ট্য বানিয়ে নিন।
পাঁচ. এই পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী। আমরা কেউ এখানে চিরকাল থাকবো না। তাই ক্ষণিকের এই জীবনে মানুষের প্রতি মনে কষ্ট পুষে না রেখে বরং ক্ষমা করতে পারলে এই জীবন ও পরবর্তী আখেরাতের অনন্ত জীবনে আল্লাহর সন্তুষ্টি, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও সৌন্দর্য আমরা পাবো ইনশাআল্লাহ।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন- وَأَحْسِن كَمَا أَحْسَنَ اللَّهُ إِلَيْكَ
অর্থ : “এবং অনুগ্রহ করো যেমনিভাবে আল্লাহ তোমার উপর অনুগ্রহ করেছেন।” (সূরা কাসাস : ৭৭)
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে ক্ষমার মহৎ গুণ অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।